মুরগি পালনের সুবিধা এবং কোন মুরগি পালনে বেশি লাভ হয়

মুরগি পালন পদ্ধতি, মুরগি পালনের সুবিধা এবং কোন মুরগি পালনে বেশি লাভ হয়, এসব সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যে গুলো জানা একজন খামারির পক্ষে অতি প্রয়োজন। আশা রাখি, সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযগ সহকারে পড়বেন।
তাই একটি খামারির মুরগি পালনের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি জানার পাশা-পাশি তার নিজের জন্য কোন পদ্ধতিটি সবচেয়ে ভালো এবং কীভাবে কম খরচে অধিক উৎপাদন করা সম্ভব এসবের সঠিক নিয়ম ভালো ভাবে জেনে বাস্তব জীবনে কাজে লাগানো সম্ভব।

ভূমিকা: বর্তমান সময়ে মুরগি পালন একটি লাভজনক ব্যবসা। বিজ্ঞানের এই যুগে প্রযুক্তির ব্যপক ব্যবহারের ফলে পরিশ্রম ও সময় দু'টোয় কম লাগে সেই সাথে মাংস ও ডিমের উৎপাদন বাড়ছে এবং দেশে আমিষের চাহিদা অনেকটায় পূরণ হচ্ছে ।

মুরগি পালন পদ্ধতি

মুরগি পালন একটি উপার্জনশীল কৃষি কাজ যা কিছু পদক্ষেপে সহজে শুরু করতে হয়। নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে আপনি মুরগি পালনে সফল হতে পারেন:

১. ব্যবসায়িক পরিকল্পনা: 

মুরগি পালনের আগে একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করা উচিত। পরিকল্পনাতে অবশ্যই মুরগি প্রজাতি, ক্ষমতা, প্রাকৃতিক শর্ত, খরচ, লাভ, বিতর্কিত বিষয়গুলি বিবেচনা করা উচিত। একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করতে মুরগি পালনে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখতে হবে:
  • লক্ষ্য ও উদ্দীপনা: পরিকল্পনার সৃষ্টিতে একটি স্পষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দীপনা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কতগুলি মুরগি পালতে চান, কতটি খরচ হতে পারে, আর কতটি লাভ আশা করতে পারে, এগুলি অবশ্যই স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করুন।
  • মুরগি প্রজাতি নির্বাচন: সঠিক মুরগি প্রজাতি নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো স্থানে উপযুক্ত জলবায়ু এবং পৌরুষমূলক মুরগি প্রজাতি চয়ন করতে হবে।
  • প্রাকৃতিক শর্ত এবং জলবায়ু: মুরগি পালনের জন্য প্রাকৃতিক শর্ত এবং জলবায়ু গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ তাপমাত্রা, উচ্চ পরিমানের বৃষ্টি, এবং সঠিক বাতাস সার্কুলেশন নিশ্চিত করা উচিত।
  • খরচ ও লাভ: মুরগি পালনের জন্য কতটি খরচ হতে পারে এবং কতটি লাভ আশা করা যায়, এগুলি মনে রাখুন। খরচ অনুমান করতে বাজেট তৈরি করুন এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃদ্ধি ও প্রফিট এর প্রয়োজনীয় পরিমাণ নির্ধারণ করুন।
  • আবশ্যক সরঞ্জাম ও সামগ্রী: মুরগি পালনের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং সামগ্রী তৈরি করুন, যেমন গোড়া, খাবার, ড্রিংকিং পানির ব্যবস্থা, ওজন পরিচিতি, ওয়ার্মিং সিস্টেম, মেডিকেশন, সুরক্ষা সরঞ্জাম, ইত্যাদি।
  • ব্যবসা প্রচার এবং বিপণি: আপনার মুরগি পালন ব্যবসার প্রচার এবং বিপণি যোগাযোগ করুন। এটি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে, বাজারে, প্রাদেশিক বা দেশব্যাপী প্রদর্শনীতে মুদ্রণ এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে হতে পারে।
  • মুরগির স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসা: আপনার মুরগিরা সুস্থ থাকতে হবে এবং কোনও সমস্যা হলে তা দ্রুত চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।
  • প্রকৃতি ব্যাবস্থাপনা: পরিকল্পনা করুন যে, মুরগি পালনের ব্যাবস্থাপনা এবং পরিচিতির উন্নতির জন্য আপনি যে কোনও প্রকৃতি উপাদানের সাথে মেলাতে পারেন।
এই ব্যবসায়িক পরিকল্পনা সমৃদ্ধি এবং সহিষ্ণুতা সহ মুরগি পালনের ব্যবসায়িক সফলতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে।

২. গোড়া প্রস্তুতি: 

মুরগিদের জন্য একটি উপযুক্ত গোড়া তৈরি করতে হবে। গোড়াটি পরিষ্কার, সুস্থ, উত্তম ভেতরের বাতাস প্রবাহের সুযোগ দেওয়া এবং মুরগির উপর যত্ন নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। গোড়া মুরগি পালনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এটি মুরগির সুস্থ ও সুরক্ষিত রাখার জন্য মুখ্য অংশ। একটি উত্তম গোড়া তৈরি করার জন্য নিম্নলিখিত ধরণের পদক্ষেপ অনুসরণ করা উচিত:
  • পরিষ্কারতা: গোড়া অবশ্যই পরিষ্কার ও সাবধানে পরিচ্ছন্ন করা উচিত। মুরগির জন্য নিয়মিতভাবে গোড়া পরিষ্কার করা জরুরি। এটি অতিরিক্ত প্রজাতি, খাদ্য এবং মল বা মুক্ত কাগজের সম্পৃক্ত অংশ সাফ করা হতে পারে।
  • উপযুক্ত স্থান ও পরিবেশ: গোড়া প্রস্তুতি করার জন্য উপযুক্ত স্থান নির্ধারণ করা উচিত। এটি যে জায়গায় রাখা হবে, তা উপযুক্তভাবে ভেতরের বাতাসের প্রবাহ ও প্রবেশ করতে পারে।0
  •  গোড়া তৈরি করার সময় সাবধানতা অবশ্যই মেনে চলা উচিত। তা যেন মুরগিরা কোনও ভূতুর অথবা বিপদের সম্মুখীন না হয়।
  • মুরগির উপর যত্ন: গোড়া তৈরি করার সময় মুরগিরা এর উপর যত্ন নেওয়া উচিত। তারা কোনও জটিল অথবা বিপদের সম্মুখীন না হয়।
  • স্থায়ীত্ব: গোড়া অবশ্যই স্থায়ী ও দৃঢ় হতে হবে, যাতে মুরগিরা সহজেই গোড়া থেকে পানি খেতে পারে এবং তারা নিজেদের স্থিতিশীল মনে করতে পারে।
  • সার্কুলেশন এবং বাতাস প্রবাহ: উচ্চ বাতাস প্রবাহ সার্কুলেশন উপযুক্ত করে মুরগিরা ঠান্ডা বা গরম হয়ে যাওয়ার অপব্যবস্থার মুখে আসতে পারে।
  • পরিবেশ নির্ধারণ: উপযুক্ত পরিবেশে গোড়া রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এটি ধূমপান, পরিশ্রম, বা অন্য যে কোনও প্রকৃতি আগ্রহের মুখোমুখি না হয়।
এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে, আপনি একটি উত্তম এবং সুরক্ষিত গোড়া তৈরি করতে পারবেন, যা মুরগিরা সুস্থ ও সুখী থাকতে সাহায্য করতে পারে।

৩. প্রাথমিক যত্ন ও আবাসন:

নতুন মুরগিরা সঠিক ভাবে যত্ন নেওয়া এবং উপযুক্ত আবাসন প্রদান করা উচিত। সুনির্দিষ্ট তাপমাত্রা, ভেতরের বাতাস প্রবাহ, প্রচুর পরিমাণের পানি প্রদান ইত্যাদি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নতুন মুরগিরা প্রথমিক যত্ন নেওয়ার জন্য এবং তাদের উচ্চ মানের আবাসন প্রদানের জন্য আপনি নিম্নলিখিত কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন:
  • প্রস্তুত করুন আবাসন: নতুন মুরগিরা একটি প্রস্তুত এবং সুজুক আবাসনে সুস্থ, শীতকালীন এবং গরমকালীন শর্তে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আবাসনটি মুরগিরা সুস্থভাবে উত্তরাধিকারিত হতে সাহায্য করতে পারে।
  • তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ: মুরগিরা একটি উচ্চ তাপমাত্রা পছন্দ করে। সুনির্দিষ্ট তাপমাত্রা রক্ষণ করতে তাদের আবাসন তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। তাপমাত্রা হোক না অতি উচ্চ না অতি নিম্ন এবং সহ্যকর হোক।
  • ভেতরের বাতাস প্রবাহ: মুরগিরা ভেতরের বাতাস প্রবাহের জন্য সুযোগ পাওয়া উচিত। এটি একটি কামরা অথবা বাড়ির যেকোনো অংশে উন্নত বাতাস সার্কুলেশন নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে।
  • প্রচুর পরিমাণে পানি প্রদান: মুরগিরা সুস্থ থাকতে ও উন্নত হতে প্রচুর পরিমাণে পানি প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের জন্য যত্ন নেওয়া জরুরি যাতে তারা নিয়মিতভাবে পানি খেতে পারে।
  • পরিচিতি এবং সহানুভূতি: নতুন মুরগিরা পরিচিতি এবং সহানুভূতি এড়াতে সহায়ক হতে পারে। এটি তাদের স্থিতিশীলতা এবং ভালো স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • প্রস্তুতিকরণ: মুরগিরা উচ্চ মানের খাবার এবং প্রযুক্তিতে আধুনিক প্রস্তুতির মাধ্যমে তাদের প্রস্তুতি করা গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন মুরগিরা এবং তাদের জন্য একটি উপযুক্ত আবাসন তৈরি করতে এই পদক্ষেপগুলি মনে রাখলে, তারা সুস্থ, সুখী এবং প্রগতিশীল ভাবে উন্নত হতে পারে।

৪. পুষ্টি ও খাবার:

মুরগির জন্য উপযুক্ত খাবার প্রদান করা মুখ্যভূমিকা পালনের সাথে সংবদ্ধ বা প্রয়োজন। মুরগিরা একটি ব্যালান্সড এবং সুস্থ আহার প্রয়োজন, যা তাদের স্বাস্থ্য, উন্নত দক্ষতা, এবং মাংসের সঠিক গুণগতমান নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। নিম্নলিখিত অংশগুলি মুরগির পুষ্টি ও খাবারের সমর্থন করতে সাহায্য করতে পারে:
  • পূর্বমেদিকেটেড খাদ্য: একটি ভালো মেদিকেটেড খাদ্য প্রদান করতে হবে যা মুরগিরা সুস্থ্যকর ও উন্নত দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • প্রোটিনের খাদ্য: মুরগিরা উচ্চ প্রোটিন খাদ্য প্রয়োজন পায়, যা মাংসের উৎপাদন এবং উন্নত দক্ষতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
  • কাচা ও শুকনো খাবার: তাজা, শুকনো ফল, শাকসবজি এবং অন্যান্য সার্বিক খাবার মুরগিরা একটি পূর্ণ এবং সুস্থ আহার প্রদান করতে সাহায্য করতে পারে।মুরগিরা তাজা ফল এবং শাকসবজি খেতে পারে, যা তাদের সুস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি তাদের ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টির সোর্স হতে পারে। কাচা ও শুকনো খাবার মুরগিরা জনপ্রিয়ভাবে একটি সুস্থ এবং পুষ্টিকর আহারে পরিণত হতে সাহায্য করে, এবং এটি তাদের সুস্থ্য, উন্নত দক্ষতা এবং মাংসের জন্য সঠিক গুণগতমান নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
  • ভিটামিন ও খনিজসহ সম্পৃক্ত খাবার:
  • মুরগিরা জন্য ভিটামিন ও খনিজসহ সম্পৃক্ত খাদ্য প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ। মুরগিরা জন্য সম্পৃক্ত খাদ্য প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে যাতে তাদের স্বাস্থ্য এবং উন্নত উৎপাদনের জন্য আবশ্যক পুষ্টি প্রদান হতে পারে। মুরগিরা জন্য উপযুক্ত ভিটামিন ও খনিজসহ সম্পৃক্ত খাদ্যের মধ্যে নিম্নলিখিত উল্লেখযোগ্য উপাদানগুলি থাকতে পারে:
  1. ভিটামিন A: মুরগিরা কোমরের উন্নত ফাংশন, চোখের সুরক্ষা এবং পচন প্রক্রিয়ায় ভূমিকা পালনে সাহায্য করে।
  2. ভিটামিন D: অসম্পৃক্ত ফসফরাস ও ক্যালসিয়ামের সঠিক শর্তে সাহায্য করে, যা হাড় ও ডাঁড়ার উন্নত বৃদ্ধি এবং মাংসের গুণগতমানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  3. ভিটামিন E: স্কিন এবং মাংস কোষের সুরক্ষা এবং বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  4. ভিটামিন K: অসম্পৃক্ত ক্যালসিয়ামের উপকারিতা নেওয়ার জন্য মুদ্রাবলী গুণ সহকারে আপনার মুরগির হাড়ের উন্নত স্থিতি সঠিক করে।
  5. ভিটামিন B গুলি: মুরগিরা পুরস্কৃত নাক ও হাড়ের উন্নত উৎপাদনে সাহায্য করতে পারে, এটি সাধারণভাবে ভিটামিন B12, ভিটামিন B6, নিয়াসিন, ফোলিক এবং প্যান্থেনোল উপযুক্ত মাত্রায় থাকে।
  6. খনিজসহ খাদ্য: স্বাস্থ্যকর মাংস, হাড় উন্নত উৎপাদন এবং উত্তরাধিকারের জন্য যেসব খনিজ প্রয়োজন, তা অন্তর্ভুক্ত ইত্যাদি খাদ্যে থাকতে হবে। 
এই সম্পৃক্ত খাদ্যগুলি মুরগিরা কে স্বাস্থ্যকর এবং উন্নত উৎপাদনের জন্য ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করতে সাহায্য করতে পারে।
  • পরিস্থিতি অনুযায়ী আহার পরিবর্তন: আবশ্যক হলে, মুরগির আহার পরিবর্তন করা যেতে পারে যাতে তাদের প্রয়োজনীয় নুত্রিশন প্রদান হতে থাকে।
  • উচ্চ মাত্রার পানি: মুরগিরা প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে। এটি তাদের সুস্থ্যকর এবং ভাল বৃদ্ধি এবং মাংসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • আপত্তিকালীন খাদ্য প্রদান: মুরগিরা একটি উচ্চ পোটাশিয়াম ও সোডিয়াম খাদ্যের জন্য প্রস্তুত হতে পারে যাতে তারা অবশ্যই প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রোলাইটগুলি প্রাপ্ত করতে পারে।
এই পদক্ষেপগুলি মুরগিরা উন্নত সুস্থ্য এবং উন্নত দক্ষতা হয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়া, আপনি একজন ভেতরের চিকিৎসক বা একজন মুরগির পেশীর চিকিৎসকে সাধারণভাবে পৌঁছাতে পারেন যেন তারা সুস্থ্য অবস্থায় থাকতে সাহায্য করতে পারে।

৫. চিকিৎসা এবং যত্ন:

মুরগির জন্য সুস্থ্য পরিবেশ প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোনও সমস্যা উঠে, তা দ্রুততম সম্পর্কে নিবন্ধন করতে হবে এবং প্রয়োজনে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। মুরগির যত্ন ও চিকিৎসা এর জন্য কিছু মৌলিক পদক্ষেপ নিতে হয়:
  • রোগ প্রতিরোধ: আগামীতে রোগ এড়াতে, মুরগিরা উচ্চ মানের খাবার, শুদ্ধ পানি, সুস্থ্য আবাসন, এবং শোকার্ত পর্যায়ে রাখতে হবে।
  • রোগ অনুধাবন এবং আবদ্ধতা: মুরগিরা যদি কোনও অস্বাস্থ্যকর লক্ষণ প্রদর্শন করে, তাদেরকে দ্রুত অবহেলার জন্য পরিদর্শন করতে হবে এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
  • ভিটামিন এবং খনিজ সাপ্লিমেন্ট: মুরগিরা যদি কোনও পুষ্টিকর সমস্যা প্রদর্শন করে তবে চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন এবং খনিজ সাপ্লিমেন্ট প্রদান করা হতে পারে।
  • ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াল নিয়ন্ত্রণ: উচ্চ মানের শোকার্ত এবং শুদ্ধতা মেরামতের জন্য মুরগিরা প্রতিদিন ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াল নিয়ন্ত্রণের জন্য সুযোগ প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • আবাসন মেরামত: মুরগিরা একটি শুদ্ধ এবং সুস্থ্যকর আবাসনে থাকতে হবে, যেটি তাদের ভাল স্বাস্থ্য ও উন্নত দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।
  • উচ্চ মানের খাবার: মুরগিরা জন্য সঠিক এবং পূর্ণ পুষ্টির জন্য উচ্চ মানের খাবার প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • প্রতিদিন নতুন জিনিস যোগ: মুরগিরা যদি প্রতিদিন নতুন খাদ্য জিনিস যোগ করা হয়, তাদের পুষ্টি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।
মুরগির সুস্থ্য ও ভাল প্রস্তুতি বজায় রাখতে এবং যত্ন নেওয়ার জন্য, এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনে স্থানীয় পেট দড়ি বা পশুচিকিৎসকে যোগাযোগ করা উচিত।

৬. ব্যবসা পরিচালনা:

মুরগি পালনে নিয়মিত যত্ন, মানুষের উত্সাহ, উন্নত প্রযুক্তি এবং পরিচিতি সঠিকভাবে প্রয়োজন যা ব্যবসায়িকভাবে মুরগি পালনে সাহায্য করে। ব্যবসা পরিচালনায় মুরগি পালনের জন্য একটি ভাল পরিকল্পনা ও দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ যেন ব্যবসার ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করা যায়। এটি সহজে অনুসরণ করতে মাদ্রিদের মধ্যে উত্সাহ এবং সঠিক যত্নের মাধ্যমে হতে পারে। একটি ভাল ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করা হয়:
  • পরিকল্পনা এবং অগ্রগতির উপর গুরুত্ব: একটি ভাল ব্যবসা পরিচালনা শুরু করতে এবং তার অগ্রগতি নিরীক্ষণ করতে একটি সঠিক পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসা পরিকল্পনা মধ্যে মুরগি পালনের সময়কে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য উপায়ের একটি পরিকল্পনা হওয়া উচিত, যেখানে মুদ্রণ হবে, প্রযুক্তি ব্যবহার হবে, এবং ব্যবসার বিভিন্ন দিকে যেমন মার্কেটিং, প্রজনন প্রযুক্তি ইত্যাদি নিরীক্ষণ করা হবে।
  • উপযুক্ত প্রশিক্ষণ: ব্যবসা পরিচালনা করার আগে, মুরগি পালন এবং ব্যবসা প্রযুক্তি সম্পর্কে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি দক্ষ কর্মীদের বা আইটি পেশাদারদের কাছে সহায়ক হতে পারে।
  • উপযুক্ত ব্যবসায়িক ভিত্তি তৈরি করুন: ব্যবসা শুরু করার আগে এবং কোনও টাকা বা ঋণ প্রয়োজন হলে, উপযুক্ত ব্যবসায়িক ভিত্তি তৈরি করুন যাতে আপনি যে উদ্দেশ্যে ব্যবসা শুরু করছেন তা স্পষ্ট হয়।
  • মার্কেট রিসার্চ করুন: আপনার ব্যবসার জন্য উপযুক্ত মার্কেট রিসার্চ করুন এবং আপনার পণ্য বা পরিষেবা কে কাস্টমারদের দরবার করার জন্য জানুন।
  • উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করুন: ব্যবসার সময়ে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা আপনার কাজকে সহজ করতে এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।
  • মানসম্মত কর্মী নিন: ভাল মানের কর্মীদের নিয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে আপনার ব্যবসা উন্নত হতে পারে।
  • পরিবার সহযোগিতা: পরিবার সদস্যদের সহযোগিতা প্রাপ্ত করতে পারে যাতে আপনি ব্যবসা পরিচালনায় উন্নতি করতে পারেন।
  • ব্যবসার পরিচিতি তৈরি করুন: আপনার ব্যবসা পরিচিতি তৈরি করতে বিভিন্ন মাধ্যমে মার্কেটিং করুন, যেন আপনি আপনার কাস্টমারদের কাছে উপস্থাপন করতে পারেন।
  • ব্যবসা লাভবাণি এবং খাত অনুসরণ করুন: লাভবাণি এবং খাত অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি যাতে আপনার ব্যবসা কে ঠিকঠাক ভাবে পরিচালনা করতে পারেন।
এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে মুরগি পালন ব্যবসায়ে সফলভাবে জীবন্ত করা সম্ভব। উচ্চ মানের উত্পাদন, সুস্থ মুরগির যত্ন এবং সুস্থ ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে এই ব্যবসা সাফল্যে পৌঁছাতে সাহায্য করতে পারে। মুরগি পালনে উচ্চ মানের যত্ন, সাবধানতা এবং ব্যবসায়িক মুখস্থতা মেনে চললে, এটি একটি সফল এবং উপার্জনশীল পদ্ধতি হতে পারে।

কোন মুরগি পালনে বেশি লাভ হয়

মুরগি পালনে বেশি লাভ হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের মুরগি রাখা যেতে পারে। লাভের প্রস্তুতি এবং মুনাফার উত্তরণে একটি জাতের মুরগি বা স্পেশালাইজড প্রজনন মুরগি বেশি পছন্দ করা হয়ে থাকে। নিচে কিছু মুরগি জাতের উল্লেখ করা হলো যেগুলি পালনে বেশি লাভজনক হতে পারে, নিচে কিছু জনপ্রিয় মুরগি জাতের উল্লেখ করা হলো:

১. ব্রয়লার (Broiler):বৈশিষ্ট্যঃ 

ব্রয়লার মুরগির জন্য জনপ্রিয় একটি জাত। তাদের চারপাশের চার্জ হাই এবং দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। মাংস প্রদানে এটি বেশি জনপ্রিয় বা ব্যবহৃত হয়। এটি কয়েকটি বৈশিষ্ট্যে অভিজ্ঞান করতে হয়:
  • দ্রুত ওজন বৃদ্ধি: ব্রয়লার মুরগির বৃদ্ধি হার খুব দ্রুত এবং তাদের ওজন প্রায়ই প্রতিদিন বাড়তে থাকে। এটি দ্রুত মাংস প্রদানে সাহায্য করে এবং ব্রয়লার পালনে ব্যবসায়িক দিকে উচ্চ উপার্জনের একটি কীসের হিসেবে চিহ্নিত হয়। 
  • চার্জ হাই: ব্রয়লার মুরগির চারপাশের চার্জ হাই হয়, যা মুরগির মধ্যে উন্নত দ্রুততা এবং অধিক ওজন বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের প্রাকৃতিক গতি ও ব্যবহারিক মূল্যে ভাল বৃদ্ধি করে। 
  • উন্নত বর্গাকার শরীরস্থান: ব্রয়লার মুরগির শরীর বর্গাকার এবং ভারী হতে পারে, যা বৃদ্ধি করার জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এটি মাংস প্রদানে বেশি উপকারী হতে পারে। 
  • কম সময়ে প্রস্তুতি: ব্রয়লার মুরগির প্রস্তুতি সময় কম, এবং এটি মুরগির বয়সের প্রস্তুতি প্রায় 5-6 সপ্তাহের মধ্যে হতে থাকে। এটি ব্যবসায়িক দিকে সহজে প্রস্তুত হতে সাহায্য করে। 
  • উচ্চ মাংস উৎপাদন: ব্রয়লার মুরগির মাংস প্রদানে খুব উচ্চ হতে পারে, যা কাস্টমারের দাবি মেটাতে সাহায্য করে এবং ব্যবসায়িক দিকে একটি প্রতিষ্ঠান করে। 
ব্রয়লার মুরগি পালনে সাফল্য অর্জন করার জন্য সঠিক ব্রিড সিলেকশন, সুস্থ পৌষ্টিক খাদ্য, উচ্চ মানের মাছির সঙ্গে প্রস্তুতি, সুষ্ঠ পোষণ এবং সম্পর্কিত সমস্যার সঠিক মোকাবিলা গুরুত্বপূর্ণ।

২. লেয়ার (Layer):বৈশিষ্ট্যঃ 

এই জাতের মুরগি ডিম প্রডাকশনের জন্য জনপ্রিয়। তারা সাধারণভাবে ডিম প্রডাক্টিভ এবং বৃদ্ধিশীল। লেয়ার মুরগি একটি জনপ্রিয় জাতি, যা প্রায়ই ডিম প্রডাকশনের জন্য ব্যবহৃত হয়। 
  • এটি কয়েকটি বৈশিষ্ট্যে অভিজ্ঞান করতে হয়: ডিম প্রডাক্টিভ: লেয়ার মুরগির মাংস দ্বারা অধিকভাবে পরিচিত হতে পারে, তবে তার প্রধান উদ্দেশ্য ডিম প্রডাকশন। এই জাতি সাধারণভাবে ডিম দেয়ার জন্য প্রস্তুত। 
  • প্রাকৃতিক অবস্থানে উপযোগী: লেয়ার মুরগিরা প্রাকৃতিক অবস্থানে উপযোগী হতে পারে এবং তাদের জনপ্রিয়তা এই দিকে থাকতে পারে। 
  • উন্নত ডিম প্রডাকশন: লেয়ার মুরগিরা সাধারণভাবে অধিক ডিম দেয়ার জন্য জনপ্রিয়। এই জাতি সাধারণভাবে ডিম দিয়ে থাকতে সক্ষম। 
  • ভারী মুকুল দ্বারা বিশেষ্ট: লেয়ার মুরগিরা ভারী মুকুল এবং তাদের পুরস্কৃত শরীরের জন্য পরিচিত। এটি মাংস প্রদানে বেশি উপযোগী হতে পারে। 
  • উচ্চ ডিম প্রদান: লেয়ার মুরগিরা সাধারণভাবে ডিম দিয়ে থাকতে সক্ষম, যা কাস্টমারদের এবং ব্যবসায়িক প্রযুক্তিতে উচ্চ গুণমানের ডিম প্রদানে সাহায্য করে।
লেয়ার মুরগির পালনে সাফল্য অর্জন করার জন্য সঠিক ব্রিড সিলেকশন, উচ্চ মানের ডিম প্রডাক্শনের জন্য প্রস্তুতি, উচ্চ মানের পোষণ, সঠিক পরিচিতি এবং উচ্চ স্বাস্থ্য মূল্যের মাছির সঙ্গে প্রস্তুতি গুরুত্বপূর্ণ।

৩. এগ প্রডাকশন (Egg Production) মুরগি:বৈশিষ্ট্যঃ 

এই জাতের মুরগি মূলত ডিম প্রডাকশনের জন্য উপযুক্ত। এগুলি বিশেষভাবে উন্নত ডিম প্রডাকশনের ক্ষমতা দেখায়। এটি কয়েকটি বৈশিষ্ট্যে অভিজ্ঞান করতে হয়: 
  • উন্নত ডিম প্রডাকশন: এগ প্রডাকশন মুরগিরা প্রায়ই উন্নত ডিম প্রডাকশনের জন্য প্রস্তুত। এই জাতি ডিম দিতে প্রস্তুত এবং ব্যবসায়িক দিকে একটি কীসের হিসেবে চিহ্নিত হয়। 
  • সাধারণভাবে প্রডাক্টিভ: এগ প্রডাকশন মুরগিরা সাধারণভাবে ডিম প্রডাক্টিভ এবং বৃদ্ধিশীল। এটি ব্যবসায়িক দিকে একটি বাড়তি উপার্জনের উপায়ে গুরুত্বপূর্ণ। 
  • অভাব এবং উন্নত সুরক্ষা: এগ প্রডাকশন মুরগিরা আমাদের অভাব এবং উন্নত সুরক্ষা দেওয়ার জন্য অনেক ক্ষমতাশালী। এটি তাদের সুস্থতা এবং ডিম প্রডাকশন উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
  • সংকুচিত আবস্থানে উপযোগী: এগ প্রডাকশন মুরগিরা সাধারণভাবে সংকুচিত আবস্থানে উপযোগী এবং তাদের সংকুচিত আবস্থানে উন্নত ডিম প্রডাকশন দেখাতে সাহায্য করতে পারে। 
  • উচ্চ মানের ডিম: এগ প্রডাকশন মুরগির ডিম সাধারণভাবে উচ্চ মানের হতে পারে, যা কাস্টমারের দাবি মেটাতে সাহায্য করে এবং ব্যবসায়িক প্রযুক্তিতে উচ্চ মানের ডিম প্রদানে সাহায্য করে। 
এগ প্রডাকশন মুরগির পালনে সাফল্য অর্জন করার জন্য সঠিক ব্রিড সিলেকশন, উচ্চ মানের ডিম প্রডাকশনের জন্য প্রস্তুতি, উচ্চ মানের পোষণ, সঠিক পরিচিতি এবং উচ্চ স্বাস্থ্য মূল্যের মাছির সঙ্গে প্রস্তুতি গুরুত্বপূর্ণ।

৪. দেশি মুরগি (Desi Chicken):বৈশিষ্ট্যঃ 

দেশি মুরগির পালন করা হয় বিভিন্ন স্থানীয় প্রজাতির মুরগির মধ্যে। এগুলি প্রাকৃতিক পরিবেশে উন্নত বৃদ্ধি দেখায় এবং কিছু ক্ষেত্রে কম খরচে পালন করা যায়। এই প্রজাতির মুরগির কয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখযোগ্য: 
  • প্রাকৃতিক পরিবেশে উন্নত বৃদ্ধি: দেশি মুরগি সাধারণভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশে উন্নত বৃদ্ধি দেখায়। এটি প্রকৃতির সাথে অভিবাদ না করে সুস্থভাবে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে। 
  • স্থানীয় প্রজাতি: দেশি মুরগি স্থানীয় প্রজাতির, যা প্রতিষ্ঠানিক প্রজাতিগুলির তুলনায় আদর্শ হিসেবে উপযোগী। 
  • কম খরচে পালন: দেশি মুরগি সাধারণত কম খরচে পালন করা যায়। এগুলি স্থানীয় খাবারের উপর নির্ভর করে এবং বাড়িত পাওয়া যায়, যা খরচ উন্নতির একটি উপায় হতে পারে। যা ছোট শ্রমিকদের বা কৃষকদের জন্য উপযোগী। 
  • স্থানীয় উপাদানে ভরা প্রজনন: দেশি মুরগির প্রজনন স্থানীয় উপাদানে ভরা হতে পারে, যা প্রতিষ্ঠানিক খাদ্য ও উপাদানের উপর নির্ভর করে না। 
  • প্রকৃতির সাথে অভিবাদ না করা: দেশি মুরগির পালনে সাধারণভাবে প্রকৃতির সাথে অভিবাদ না করা হয়, তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।
  • পুরাতন প্রজাতির বিভিন্নতা: দেশি মুরগিরা বৈশিষ্ট্যমূলক পুরাতন প্রজাতির বিভিন্নতা ধারণ করে। এগুলি প্রাকৃতিক গতির এবং স্থানীয় পারম্পরিক প্রজাতির সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সাহায্য করে।
দেশি মুরগি পালন করা যায় সাধারণ প্রকৃতির অবস্থায়, কিন্তু সাবধানে এবং উপযুক্ত যত্নের সাথে পালন করতে হবে যাতে তার সুস্থতা এবং বৃদ্ধি নিশ্চিত হয়। দেশি মুরগি পালনে সফলতা অর্জনের জন্য উচ্চ মানের খাবার, সুস্থ পরিচিতি, পুরাতন প্রজাতির বিভিন্নতা সংরক্ষণ, উচ্চ স্বাস্থ্য মূল্যের সাথে প্রস্তুতি গুরুত্বপূর্ণ।

৫. কুরআনি মুরগি:বৈশিষ্ট্যঃ 

কুরআনি মুরগি হলো একটি জাতি, এই জাতের মুরগি ধার্মিক উদ্দেশ্যে পালন করা হয়। তারা খুব সুস্থ এবং মাংস ও ডিমের দাম উচ্চ হতে পারে। এই মুরগির বৈশিষ্ট্য এবং তাদের পালনের উপকারিতা নিম্নলিখিত:
  • ধার্মিক উদ্দেশ্যে পালন: এই জাতের মুরগি ইসলামী ধার্মিক উদ্দেশ্যে পালন করা হয়। সাধারণভাবে ইসলামিক উদ্দেশ্যে মুরগির খোরাক এবং অন্যান্য দানের জন্য ব্যবহৃত হয়। অনেক মুসলিম মুরগির পালনে এই ধরনের জাতি পছন্দ করেন।
  • সুস্থ মুরগি: কুরআনি মুরগিরা সাধারণভাবে খুব সুস্থ এবং তাদের মাংস ও ডিম স্বাভাবিকভাবে পুষ্টিকর। এবং সুস্থ খাদ্যের জন্য পালন করা হয়, যা ধর্মিক অনুষ্ঠানের অংশ হতে পারে। 
  • উচ্চ মাংস এবং ডিমের দাম: এই জাতির মুরগির মাংস এবং ডিম উচ্চ মূল্যে বিক্রয় করা হতে পারে, যা ধার্মিক কারণে এবং পুরাতন প্রজাতির বিভিন্নতা ধারণ করে সাধারণ মুরগির চেয়ে বেশি মূল্যবান হতে পারে। 
  • প্রতিস্থানে পালন: কুরআনি মুরগি সাধারণভাবে স্থানীয় প্রজাতির হতে পারে এবং প্রতিস্থানে পালন করা হতে পারে, যা স্থানীয় উপার্জনের এবং পারম্পরিক উদ্দেশ্যে গুণমুল করতে সাহায্য করতে পারে।
কুরআনি মুরগির পালনে সাফল্য অর্জনে ধার্মিক উদ্দেশ্যে উচ্চ মানের খাবার, সুস্থ পরিচিতি, পুরাতন প্রজাতির বিভিন্নতা সংরক্ষণ, উচ্চ স্বাস্থ্য মূল্যের মাছির সাথে প্রস্তুতি গুরুত্বপূর্ণ।

৬. কবির (Kabir):বৈশিষ্ট্যঃ 

কবির জাতের মুরগি দেশী মুরগি এবং ব্রয়লার মুরগির একটি মিশ্রণ। এই জাতটি তাদের বৃদ্ধির জন্য এবং তাদের মাংস এবং ডিমের জন্য পরিচিত। এই জাতের মুরগির বৈশিষ্ট্য নিম্নলিখিত: 
  • দেশী এবং ব্রয়লার মিশ্রণ: কবির মুরগি একটি দেশী এবং ব্রয়লার মুরগির মিশ্রণ, যা একসঙ্গে দেশী মুরগির প্রাকৃতিক ভারতীয় জাতির এবং ব্রয়লার মুরগির চারপাশের চার্জ এবং দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। 
  • সুস্থ ও জনপ্রিয়: কবির মুরগি সাধারণভাবে সুস্থ এবং জনপ্রিয়, এবং তাদের মাংস এবং ডিম জনপ্রিয় এবং সুস্থ্যকর। 
  • বৃদ্ধির ক্ষমতা: এই জাতের মুরগিরা চারপাশের চার্জ হাই এবং দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করে, যা চমৎকার বৃদ্ধির ক্ষমতা দেখায়। 
  • মাংস ও ডিমের জন্য পরিচিত: কবির মুরগির মাংস এবং ডিম জনপ্রিয় এবং সুস্থ্যকর, যা এই জাতির জনপ্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করে। 
  • ব্যবসা স্তরে উপযোগী: কবির মুরগি ব্যবসা স্তরে উপযোগী, যার মাধ্যমে চাষীরা চারপাশের চার্জ এবং ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং দেশী এবং ব্রয়লার মুরগির মিশ্রণ হিসেবে তাদের ব্যবসা প্রসার করতে পারে।
কবির মুরগি একটি প্রয়োজনীয় ও জনপ্রিয় জাতি, যা দেশী মুরগির প্রাকৃতিক ভারতীয় জাতির এবং ব্রয়লার মুরগির মিশ্রণ হিসেবে উপযোগী।


বিভিন্ন জাতের মুরগির পালনে বেশি লাভ হাসিল করতে প্রতিটি জাতের উপযুক্ত যত্ন এবং ব্যবসায়িক প্রস্তুতি গুলি পালন করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি নিজের বাস্তবায়িতে প্রতিটি জাতের সুবিধা এবং সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলি মনে রাখতে এবং প্রোফেশনাল পরামর্শকারী থেকে সাহায্য নেওয়া উচিত।

মুরগি পালনের সুবিধা

মুরগি পালনের সুবিধাগুলি সমৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সাধনের একটি দিকে প্রযুক্তিগত এবং সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে হতে পারে। এটি একটি শখের বা বাণিজ্যিক প্রকল্প হিসেবে মহিলাদের জীবনধারার প্রতি একটি বিশেষ প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এছাড়া, মুরগি পালন দ্বারা প্রাকৃতিক পরিবেশের সংরক্ষণে এবং খাদ্য আত্মনির্ভরতা তৈরি করতে সাহায্য করে।

মুরগি পালনের সুবিধাগুলির মধ্যে বাণিজ্যিক সাফল্য, সামাজিক উন্নয়ন, আর্থিক স্বাধীনতা, পুষ্টি সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক পরিবেশের সংরক্ষণ, স্থানীয় উন্নতি, আর্থিক উন্নয়ন এবং কৃষি উন্নয়নের সাথে সম্পর্কিত মূল্যায়ন করা হয়েছে।

মুরগি পালনের সুবিধাগুলি বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে বাড়ছে এবং এটি গ্রাম বাংলার মহিলাদের জন্য একটি আর্থিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করছে। এটির সুবিধাগুলি :
  • সাধারণ প্রযুক্তির ব্যবহার: মুরগি পালনে সাধারণ প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে কোনও বিশেষ দক্ষতা প্রয়োজন নেই, যা অনেক গ্রাম মহিলাদের জন্য একটি আত্মস্থানীয় আয় উৎপন্ন করতে সাহায্য করে।
  • আর্থিক স্বাধীনতা: মুরগি পালনের মাধ্যমে মহিলারা আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করতে পারে, এটি তাদের জীবনধারার প্রতি একটি অভিজ্ঞতা তৈরি করতে সাহায্য করে।
  • সহজ পরিচালনা: মুরগি পালন সহজভাবে পরিচালনা করা যায় এবং এর জন্য বিশেষ দক্ষতা প্রয়োজন নেই, যা অনেক মহিলাদের জন্য একটি আদর্শ ব্যবসা পদ্ধতি হতে পারে।
  • কম খরচ: মুরগি পালনে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা যায়, যা খাদ্য বিলক্ষণ করে এবং খরচ কমায় তাদের উপকারে।
  • পরিবেশের সংরক্ষণ: মুরগি পালন একটি সাবস্থ্যকর এবং পরিবেশের সংরক্ষণে সাহায্য করে, যা স্থানীয় পরিসংখ্যানের উন্নত।
  • বাজার বিপণি হিসেবে প্রকাশ: মুরগি পালন দ্বারা উৎপাদিত মাংস এবং ডিম বাজারে বিপণি হিসেবে প্রকাশ করা যায়, যা আরও অধিক আয় উৎপন্ন করতে সাহায্য করে।
এই সুবিধাগুলি মুরগি পালন করা সম্পর্কে মহিলাদের জন্য একটি গুড়িয়া উপায় হতে পারে এবং সামাজিক অর্থনীতির সাথে সাথে তাদের জীবনধারার সাপেক্ষে অনুভূতি সৃষ্টি করতে সাহায্য করে।

জৈব সার

জৈব সার হলো প্রাকৃতিক উপাদানের মোড়ে তৈরি এবং পৌষ্টিক মাধ্যম যা উর্বর মাটিতে জোতা হয় এবং উৎপাদন বাড়ানোর জন্য গাছ-উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় পোষকতা সরবরাহ করতে সাহায্য করে। মুরগি এবং হাঁসের বিষ্ঠা ব্যবহার করা জৈব সার তৈরির একটি অদ্ভত উৎস।

জৈব সার উৎপাদনের জন্য মুরগি এবং হাঁসের বিষ্ঠা সংগ্রহ করা একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, এটি অমূল্যবান উর্বর মাটির পোষক মৌলের একটি ভাল উৎস। এটি গাছ-উদ্ভিদের বৃদ্ধি, পাতা, ফুল, এবং ফলের জন্য পৌষ্টিকতা যোগাযোগ করতে সাহায্য করতে পারে এবং মৃদুভূমির জন্য ভাল একটি বাড়ি সরবরাহ করতে সাহায্য করে।

এটি একটি পোষক উপাদানের সমৃদ্ধি যোগাযোগ করতে সাহায্য করে যা ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে, এবং জৈব সার ব্যবহার করা মাটির স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। এছাড়া, এই প্রক্রিয়া প্রকৃতির সংকটগুলি এবং পরিবেশের জন্য ক্রিয়াশীল এবং সুস্থতার একটি উপায়।

জ্বালানি সাশ্রয়

জ্বালানি সাশ্রয় একটি বায়োগ্যাস উৎপাদনের প্রক্রিয়া হতে পারে, যেখানে বর্জ্য এবং লিটার ব্যবহার করে জৈব বর্গীয় বস্তুর প্রক্রিয়া থেকে বায়োগ্যাস তৈরি হয়। এটি একটি বিবেচনা করা হয়েছে যে, এই প্রক্রিয়া জাতীয় অর্থনীতিতে উদারকরণ এবং পরিবেশের সংরক্ষণে সাহায্য করে। জ্বালানি সাশ্রয় তৈরি করতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করা হয়:
  • বর্জ্য সংগ্রহ ও বিচার: জ্বালানি সাশ্রয় করতে প্রথমে বর্জ্য সংগ্রহ করতে হবে। এটি ঘরের মূল্যবান সামগ্রী হতে পারে, যা জ্বালানি সাশ্রয়ে ব্যবহৃত হয়।
  • জৈব বর্গীয় বস্তুর সংগ্রহ: বর্জ্যের সাথে অন্যান্য জৈব বর্গীয় বস্তুগুলি সংগ্রহ করা হবে, যেমন পুষ্টিকর বাচ্চা, খাদ্য রেজিডিউ, ইত্যাদি।
  • বায়োগ্যাস জেনারেটর ইনস্টলেশন: বর্জ্য এবং জৈব বর্গীয় বস্তুগুলি একত্রে করে বায়োগ্যাস জেনারেটর ইনস্টল করতে হবে। এই জেনারেটর জৈব বস্তুগুলি বায়োগ্যাসে পরিণত করে এবং এটি ব্যবহারকারীর জন্য উপযোগী শক্তি তৈরি করে।
  • বায়োগ্যাস ব্যবহার করা: তৈরি হয়া বায়োগ্যাসটি রান্না করতে, গ্যাস চুলার জন্য ব্যবহার করতে এবং অন্যান্য জলবায়ুশীতল উপায়ে ব্যবহার করতে হবে।
এই প্রক্রিয়াটি ব্যবহারকারীদের একটি সস্তা, প্রকৃতির সংরক্ষণ, ওজন বাড়ানো এবং বায়োগ্যাস প্রস্তুত করার জন্য একটি সাশ্রয় প্রক্রিয়া তৈরি করতে সাহায্য করে।

লেখকের মন্তব্যঃ কোন মুরগি পালনে বেশি লাভ হয়

প্রিয় বন্ধুরা, মুরগি পালনের সুবিধা এবং কোন মুরগি পালনে বেশি লাভ হয় বা খামার প্রকল্পের মাধ্যমে কিভাবে লাভবান হতে পারবেন তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি, আমাদের এই আর্টিকেল পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। ভালো লাগলে পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন। এধরনের আরো তথ্য পেতে পেজটি প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url