দাদ রোগের লক্ষণ ও দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

প্রিয় পাঠক, দাদ নিয়ে অধিক চিন্তিত, তাহলে এই পোস্ট আপনার চিন্তা দূর করতে সাহায্য করবে। আজকে আমরা জানবো দাদ রোগের লক্ষণ ও দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে। পোস্টটি ধৈর্য্য ও মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।
দাদ রোগ
শুধু তাই নয় বন্ধুরা, দাদ রোগের লক্ষণ ও দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা, দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষধ সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। আপনার ক্ষেত্রে কোন সমাধানটি কর্যকারী হবে তা জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা: দাদ হলো চর্ম জাতীয় রোগ। দাদ একটি ফাঙ্গাল ইনফেকশন যা সাধারণভাবে ত্বকে এবং কখনো কখনো নখে হতে পারে এবং এটি ছোঁয়াচে রোগ। প্রাকৃতিক উপায়ে অথবা অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধের মাধ্যমে আমরা এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি। আজকে নিম্নের আলোচনায় দাদের সকল প্রকার দিক গুলো উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।

দাদ রোগের লক্ষণ

দাদ একটি ফাঙ্গাল ইনফেকশন যা সাধারণভাবে ত্বকে এবং কখনো কখনো নখে হতে পারে। দাদ ইনফেকশনের লক্ষণ গুলি নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

লাল, বৃত্তাকার ফুসকুড়ি: আক্রান্ত এলাকায় একটি রিং আকারের ফুসকুড়ি দেখা যায়। যার আউটার অংশ সাধারণভাবে লাল অথবা গাঢ় লাল রঙের মতো দেখা যায়। এবং তার চারপাশে স্কেলিং বা ছিদ্র ভাব হয়ে থাকে। এটি ফুসকুড়ি রিং আকারে হওয়ার কারণে, এটি "রিংওম" হিসেবেও পরিচিত।
  • চুলকানি এবং অস্বস্তি: একটি দাদ ইনফেকশন একজন ব্যক্তির চুলের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে। যা তার চুলকানির অংশ স্কেলিং, ক্র্যাকিং এবং অস্বস্তির সাথে জড়িত রয়েছে।
  • স্কেলিং বা ক্র্যাকিং ত্বক: আক্রান্ত এলাকায় স্কেলিং বা ক্র্যাকিং হতে পারে যা ত্বকের উপাংশের ওপর বা অধীনে দেখা যেতে পারে।
  • চুল পড়া: দাঁত মাথার ত্বকে প্রভাব ফেলতে পারে এবং এর ফলে চুল পড়তে পারে।
  • ভঙ্গুর নখ: যদি দাঁত না খেয়ে প্রভাবিত হয় তবে নখগুলি ভঙ্গুর হতে পারে এবং তাদের পূর্বের অবস্থা পরিস্থিতি থেকে পরিবর্তিত হতে পারে।
এই লক্ষণ গুলির মধ্যে কোন একটি বা একাধিক দেখলে এটি দাদ রোগের সম্ভাবনা হতে পারে। এই রোগ থেকে মুক্তির জন্য একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা 

কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে দাদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং কিছু ঘরোয়া প্রতিকার ও কার্যকরী হতে পারে তবে এ প্রতিকারগুলি শুধুমাত্র সাধারণ দাদ বা ত্বক সমস্যার জন্য প্রভাবশালী হতে পারে। কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে দাদের চিকিৎসা করা সম্ভব এই পদ্ধতিগুলি দাদ নিরাময়ের সহায়ক হতে পারে। নিম্নে কিছু প্রযুক্তি প্রতিকার এবং ঘরোয়া চিকিৎসার কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:
  • চা গাছের তেল: চা গাছের তেল একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা দাদ রোগে দ্রুততম ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে চা গাছের তেলে এন্টিফাঙ্গাল গুণাবলী রয়েছে যা ছত্রাক দ্বারা উৎপন্ন সমস্যা গুলির ওপর প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। তবে মনে রাখবেন, চা গাছের তেল দাদ রোগের পূর্ব লক্ষণ বা দাদ হওয়ার স্বল্প কিছুদিনের মধ্যে হয়ে থাকলে চা গাছের তেল একটি স্বাস্থ্যকর এবং প্রাকৃতিক উপায়ে এই সমস্যার প্রতি সমাধানের একটি উপায় হতে পারে।
  • আপেল সিডার ভিনেগার: আপেল সিডার ভিনেগার অ্যাসিডিটি ও এন্টিফাঙ্গাল গুণ রয়েছে যা দাদ এর বিরুদ্ধে প্রতিকার হিসেবে কাজ করতে সাহায্য করে থাকে।
  • হলুদ: হলুদের প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক ও এন্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য দাউদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
  • অ্যালোভেরা: এলোভেরা দাউদের ওপর চিকিৎসা মূলক প্রভাব ফেলতে সহায়ক। এটি ত্বকে উপস্থিত ব্যথা এবং ছত্রাক এর বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সহায়ক।
  • নারিকেল তেল: নারিকেল তেল প্রাকৃতিক এন্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য দাউদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
  • রসুন: রসুনের অন্তিম বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে দাউদ নিরাময়ে সাহায্য করতে পারেন এটি প্রাকৃতিক এন্টিফাঙ্গাল উপায় হিসেবে কার্যকর।
  • নিম পাতা: নিমপাতা ব্যবহার করে দাউদের ওপর প্রাকৃতিক উপায়ে প্রভাবশালী হতে পারে নিম পাতা, পাতার রস ছত্রাকের বিরুদ্ধে কার্যকারিতা প্রদান করে।
এই পদ্ধতিগুলি নিয়মিত ব্যবহার করে দাউদের ক্ষত দ্রুত প্রক্রিয়া পেতে সাহায্য করে। তবে যে কোন ধরনের নিঃসংক চিকিৎসা শুরু করার আগে কার্যকরীভাবে এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী।

এই প্রতিকার গুলি ব্যবহার করার আগে তাদের ধরন এবং তা কত গতিতে পৌঁছেছে তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এছাড়াও প্রতিকার গুলি ব্যবহারে কোনো জরুরী বা সহায়ক প্রতিকার হিসেবে এটি ব্যবহার করা উচিত নয়।

দাদ প্রতিরোধে এই সহজ স্বাস্থ্যবিধি এবং পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রথাগুলোর মাধ্যমে দাদ আপনার দেহে প্রবেশ করার সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করতে পারে:
  • নিয়মিত হাত ধোয়া: নিয়মিত হাত ধোয়া দাদ প্রতিরোধে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত প্রাণী বা সম্ভাব্য দূষিত পৃষ্ঠ স্পর্শের পরে হাত ধোয়া বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ 
  • সংক্রমিত ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্ক: সংক্রমিত ব্যক্তিদের সাথে সরাসরি সম্পর্ক এড়ানো এবং তোয়ালে, চিরুনি বা পোশাক শেয়ার করা উচিত নয়।
  • পোষা প্রাণীর যত্ন: যদি আপনার পোষা প্রাণী থাকে তাদের নিয়মিত পশুচিকিৎসা ও প্রয়োজনে দাদ রোগের চিকিৎসার দ্বারা নিশ্চিত হন।
  • বসবাসের পরিবেশ: বসবাসের পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন বিশেষত জিম এবং লকার রুমের মত শেয়ার্ড স্পেসে।
  • সারপ্রাইজ স্পট: পাবলিক জায়গায় যেমন সুইমিং পুল বা সম্প্রদায়িক ঝর্ণা দূষিত পৃষ্ঠের সাথে সরাসরি সংস্পর্শ কমাতে ফ্লিপ-ফ্লপ পরুন।

দাদ রোগের চিকিৎসা

দাদ রোগের চিকিৎসা করার জন্য কিছু মৌলিক পদক্ষেপ নিতে হয় যার মধ্যে প্রধানত অ্যান্টিফাঙ্গাল ঔষধ ব্যবহার করা হয়। ওষুধগুলি ফাংগাল ইনফেকশন বা দাদ রোগের কমানোর জন্য উপযোগী। এই রোগের চিকিৎসা সাধারণত দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হয়:

১. টপিকাল ঔষধ: এ ধরনের ঔষধ ত্বকের ওপর প্রয়োগ করা হয়। সাধারণত ক্রিম, লোশন, অথবা স্প্রে হিসেবে প্রয়োগ করা হয়। এই ঔষধ গুলি ফাংগাইল ব্যাকটেরিয়াকে নষ্ট করে ত্বকের ইনফেকশন শান্ত করে। দাদ রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধগুলো অ্যান্টিফাঙ্গাল দ্রব্যাংশ হিসেবে পরিচিত হয়। 

এই ঔষধ গুলির মুখে খাওয়ার জন্য বৃদ্ধি করা হয় না। তারপরেও কিছু ক্ষেত্রে ঔষুধগুলোকে ক্রিম জেল লোশন স্প্রে পাউডার ট্যাবলেট বা ক্যাপসুলে পরিণত করা হয়ে থাকে। কিছু সাধারনভাবে ব্যবহৃত অ্যান্টিফাঙ্গাল ঔষধ গুলো হল:
  • ক্লট্রিমাজোল (Clotrimazole):এটি দাদ এবং অন্যান্য ফাংগাল ইনফেকশনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি ক্রিম লোশন জেল ওয়েন্টমেন্ট স্প্রে এবং ট্যাবলেট হিসেবে পাওয়া যায়।
  • মাইকোনাজোল (Miconazole): এটি আমুদ্রণ, খোল, জঙ্গাস্থলে, এবং শিরাস্ত্র এলাকায় দাদ এবং অন্যান্য ফাংগাল ইনফেকশনের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • টার্বিনাফিন (Terbinafine): এটি পা, হাত এবং অন্যান্য শারীরিক অংশের দাদের জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • কিটোকোনাজল (Ketoconazole): এটি দাদ ও অন্যান্য ফাংগাল ইনফেকশনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এবং এটি সাধারণত শ্যাম্পু বা ক্রিমের রূপে প্রকাশিত।
২. ওরাল ঔষধ: কিছু অস্বাভাবিক অবস্থার ক্ষেত্রে যেমন গভীর ইনফেকশন বা প্রচুর ইনফেকশন হলে, ডাক্তারের পরামর্শের ভিত্তিতে ওরাল ঔষধ ব্যবহার করা হয়। যা ইনফেকশনের নিম্নতম স্তরে এবং দাদের ছড়ানো প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়াও নিজে থেকে কিছু সহায়ক পদক্ষেপ নিতে হয়:
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করা।
  • দাদে আক্রান্ত হওয়া অবস্থায় আপনার আশে পাশের মানুষদের জন্য নিজে থেকে সতর্ক থাকা।
  • গোসল করার পর দাদের আক্রান্ত অঞ্চল ভালোভাবে শুকানো।
  • আপনি এবং আপনার পরিবারের সদস্যদের সুস্থ রাখার জন্য নিজেকে নির্দিষ্ট হারে অ্যান্টিফাঙ্গাল শ্যাম্পু বা সাবান ব্যবহার করতে হবে।
এ ধরনের চিকিৎসা আপনার বিশেষ করে আক্রান্ত ক্ষতস্থানটির ওপর নির্ভর করে। সুতরাং আপনার চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করাই ভালো হবে।

পুরাতন দাদ এর চিকিৎসা

পুরাতন দাদের চিকিৎসা প্রকাশ্যে দাদের কারণ, ধরন, এবং অবস্থার ওপর নির্ভর করে। দাদের সঠিক চিকিৎসা করার প্রয়োজনের ক্ষেত্রে দাদ হলে তার কারণ, ধরন, পুরোপুরি নির্ণয় করা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
প্রথমে মনে রাখতে হবে যে, আপনি যদি দাদের আক্রান্ত হন তাহলে পুরোপুরি ভাবে সুস্থ্যতার জন্য একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। নিজে নিজেই ঔষধ সেবন না করাই ভালো হবে। তবে আপনার জন্য কিছু সাধারণ পদক্ষেপ হতে পারে:
  • প্রথমে দাদের প্রকৃতি নির্ধারণ করুন। দাদের কারণ হতে পারে ফাঙ্গাল ইনফেকশন যেমন (ক্যান্ডিডিয়াসিস), ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন বা অন্যান্য সমস্যার জন্য।
  • শুকনো পুরাতন দাদের জন্য আমলার তেল বা অন্যান্য কোনও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন পদার্থ ব্যবহার করুন।
  • ধূমপান করতে হলে নিজের স্বাস্থ্যগতভাবে ধূমপান করা উচিত এবং এটি সীমাবদ্ধ করা উচিত।
  • কাপড় ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনার ব্যক্তিগত বা পরিবারের সদস্যদের বস্ত্র ব্যবহার বা শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে দাদ আক্রান্ত অবস্থায়।
তবে এই কার্যক্রম গুলো অবস্থানের ক্ষেত্রে বিশেষ করে দাদের জন্য প্রভাবশালী হতে পারে, তবে অধিক মাত্রায় সমস্যা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। পুরাতন দাদের চিকিৎসা করার জন্য আরও বিভিন্ন ঔষধ রয়েছে, যেগুলো ত্বকে লাগানোর জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই ঔষুধগুলোর মধ্যে কিছু হলো:
  • ক্রিম (Cream): ক্রিম দাদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতে পারে। এটি মুখে খাওয়ার জন্য প্রযোজ্য নয়। ত্বকের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
  • জেল (Gel): দাদ এর জন্য জেল একটি প্রচলিত রূপ এটি বিশেষভাবে ত্বকে লাগানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এবং এটি সর্বোচ্চ ফলাফল পেতে সাহায্য করতে পারে।
  • লোশন (Lotion): দাদাদের চিকিৎসার জন্য লোশন ব্যবহার করা হয় দাদের শীতলক্ষণ এবং তোকে ভালো অবস্থায় রাখতে।
  • স্প্রে (Spray): স্প্রে ত্বকে সহজে ভালো উপাদান পৌঁছাতে সাহায্য করে।
  • পাউডার (Powder): দাদের জন্য পাউডার ত্বকে শুকনো এবং স্বাস্থ্যগত রাখতে সাহায্য করতে পারে।
এই ঔষধ গলির মধ্যে কিছু প্রমুখ কার্যকরী উপাদান হলো:
  • ক্লট্রিমাজোল
  • মাইকোনাজোল
  • টার্বিনাফিন
  • কিটোকোনাজল
এই ঔষধ গুলি সাধারণত অবস্থানে সাপ্তাহিক বা মাসিক ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়। তবে যদি কোন চিকিৎসা বা ঔষধের ব্যবহার কোন প্রবল প্রক্রিয়া অথবা অন্য কোন সমস্যা হয়, তাহলে চিকিৎসকের সাথে অবিলম্বে যোগাযোগ করা উচিত।

দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম

  • লুলিজল ক্রিম (Lulizol Cream): একটি সাধারণ চুলকানি থেকে সৃষ্টি স্কিন ইনফেকশন ও দাদ রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি চুলকানি সৃষ্টিকারী সকল ধরনের ছত্রাক ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস ইত্যাদি ধ্বংস করতে সাহায্য করে থাকে। এবং চুলকানির স্থানে আরাম দিতেও সাহায়ক।
এই ক্রিমের বাজার মূল্য ১৬৩-১৬৪ টাকা।
  • ফানজাইরক্স ক্রিম (Fanzairox Cream): রিংওয়ার্ম থেকে সৃষ্টি চুলকানি দূর করার জন্য এটি কার্যকরী মলম হিসেবে ব্যবহার হয়। এটি ছত্রাকের সেল মেমব্রেন ধ্বংস করার মাধ্যমে এর পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এবং কিছু উপাদান থাকতে পারে যা চুলকানি সৃষ্টিকারী অনুভূতির সংকেত ব্রেনে পৌঁছাতে বাধা প্রদান করে থাকে। চুলকানি থেকে দ্রুত আরাম প্রদান করতে সাহায্য করে থাকে।
এই ক্রিমের বাজার মূল্য (৯৯-১০০) টাকা যা একটি কার্যকর ঔষধের জন্য স্বাভাবিক মূল্য হতে পারে।
  • ক্লোপিরক্স ক্রিম (Clopirox Cream): দাউদ নিরাময়ে খুব কার্যকরী হতে পারে । এবং এটি দাউদ সৃষ্টিকারী রিংওয়ার্ম ছত্রাকের ওপর আক্রমণ করে এবং তা ধ্বংস করতে সাহায্য করে । এটি ব্যবহারে চুলকানি থেকে অতি দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।
এই ক্রিমের বাজার মূল্য হলো "৯৯" টাকা।
  • ইকোনেট (Econet): দাদ ছত্রাকিত এবং অন্যান্য চুলকানির চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয় এই ক্রিম টি একটি অ্যান্টিফাঙ্গাল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ছত্রাক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর হয়ে থাকে
এই ক্রিমের বাজার মূল্য হলো "২৮-৩০" টাকা। তবে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন দাম হতে পারে ।
  • রেনোসন (Renoson): একটি অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম যা দাউদ সৃষ্টিকারী রিংওয়ার্ম এবং অন্যান্য চুলকানি সৃষ্টিকারী ছত্রাকে বিনামূল্যে ধ্বংস করতে সাহায্য করে থাকে। এটি ইস্ট জাতীয় এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের চুলকানির সৃষ্টিকারী ছত্রাকের উপর কার্যকরী হয়ে থাকে। ব্লক করতে সাহায্য করে এবং ব্যক্তিগত ব্যবহার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য উপযুক্ত হয়ে থাকে। 
রেনাসন ক্রিমের বাজার মূল্য বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন হতে পারে এবং ব্যবহারকারীদের কাছে এর মূল্য পরিবর্তন হতে পারে।

দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষধ

  • কসফ্লু (Cosflu): কসফ্লু ট্যাবলেট একটি সম্ভাব্য অন্তিমিক্রোবিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল ঔষধ। যা ছত্রাক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। দাউদ সৃষ্টিকারী রিংওয়ার্ম ছত্রাক ধ্বংস করে। এবং দেহের বিভিন্ন স্থানে সৃজনকারী চুলকানি, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ধ্বংস করে থাকে।
এ ট্যাবলেট গুলির বর্তমান বাজার মূল্য "২৪০" টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • ফ্লুজো (Fluzo): রোজা একটি দ্রুত কার্যকরী এন্টিফাঙ্গাল ঔষধ।যা ছত্রাক, চুলকানি সৃজনকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায়ক। এটি ছত্রাকের কোষ প্রাচীর ধ্বংস করার মাধ্যমে ছত্রাকের পরিমাণ কমিয়ে দেয় এই ট্যাবলেট টি খুবই উপকারী এবং কার্যক্ষমতার প্রভাব অতি দ্রুত।
বাজারে এর মূল্য ৮ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়।

অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধের ক্ষেত্রে নিচে পাঁচটি ভালো মানের অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ উল্লেখ করা হলো:
  • এক্সফিন (Xfin): এটি একটি অ্যান্টিফাঙ্গাল ঔষধ যা ত্বকের ছত্রাক নির্মূল এ ব্যবহৃত হয়।
  • রিং গার্ড (Ring Gard): রিং গার্ড হলো আরো একটি এন্টিফাঙ্কাল ঔষধ যা ছত্রাক নির্মলের ব্যবহৃত হয়
  • মিকোনাজোল (Miconazole): মিকোনাজল ছত্রাক নির্মলে ব্যবহৃত হয়। প্রাথমিকভাবে দাদ এবং অন্যান্য ছত্রাকিক সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য।
  • নয়াস্টাটিন (Noiyastin): নয়াস্টাটিন সাধারণত দাদ এবং অন্যান্য ত্বকের ছত্রাকিক সংক্রমনের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • ক্লট্রিম (Clotrim): ক্লোট্রিম বাকসুরা, দাদ এবং অন্যান্য ত্বকের ছত্রাকিক সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় বন্ধু, দাদ সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। ভালো লাগলে পরিচিতদের কাছে শেয়ার করুন। এসকল বিষয়ে আরো তথ্য পেতে আমাদের পেজটি প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url