বাংলাদেশে ভূমিকম্পের কারণ - ভূমিকম্প বাংলাদেশ ২০২৪

ভূমির কম্পনের ফলে ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। এই ভূমিকম্প আমাদের জনজীবনের উপর ব্যাপক ক্ষতির সাধন করে। ভূমিকম্পের ফলে অনেক উঁচু বিল্ডিং, গাছপালা নিমেষে ধুলিস্যাৎ হয়ে যায়। আমাদের করার কিছুই থাকে না। কারণ ভূমিকম্প হয় আল্লাহর ইচ্ছায়। আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কোন কাজও সংঘটিত হয় না। বন্ধুরা আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন আজকের আরজে খেলে কি নিয়ে আলোচনা করা হবে। তো চলুন তাহলে বন্ধুরা জেনে নিন বাংলাদেশে ভূমিকম্পের কারণ - ভূমিকম্প বাংলাদেশ ২০২৪।
বাংলাদেশে ভূমিকম্পের কারণ
আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে, ভূমিকম্প কি, বাংলাদেশ ভূমিকম্পের কারণ, ভূমিকম্প বাংলাদেশ ২০২৪, ভূমিকম্পের মূল কারণ কি, ভূমিকম্পের ফলাফল, ভূমিকম্পের সময় কি করা উচিত, ভূমিকম্পের শক্তি কত, এবং ভূমিকম্প মাপা হয় কি দিয়ে ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। আপনি যদি এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়ুন।

    ভূমিকম্প কি-ভূমিকা

    ভূ অভ্যন্তরের শিলা সমূহের পিড়নের ফলে যে শক্তির উদ্ভব হয়, সেই শক্তি হঠাৎ মুক্ত হলে ভূপৃষ্ঠ অস্থায়ীভাবে কেঁপে ওঠে এবং ভূত্বকের কিছু অংশ আন্দোলিত হয়ে ওঠে। ভূত্বকের এই ক্ষণস্থায়ী ভাবে কম্পিত হওয়াতে ভূমিকম্প বলা হয়। কম্পিত তরঙ্গ থেকে যে শক্তির উৎপত্তি হয়, তা ভূমিকম্পের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এই কম্পিত তরঙ্গ ভূগর্ভের নির্দিষ্ট অঞ্চলে সৃষ্টি হয় এবং এর উৎপত্তিস্থল চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

    বাংলাদেশে ভূমিকম্পের কারণ 

    বাংলাদেশের ভূমিকম্প বলতে আমরা বুঝি বাংলাদেশ ও তার আশপাশের এলাকার কম্পনকে। বাংলাদেশে ভূমিকম্পের প্রধান কারণ হচ্ছে ভারত ও মায়ানমারের ভূ অভ্যন্তরের দুটি ভূ চ্যুতি যার ফলে ভূপৃষ্ঠ আন্দোলন হয়। বাংলাদেশ ও ভারত ইউরেশিও প্লেট এর উপর এবং মায়ানমার ও বার্মা প্লেট এর মধ্যে অবস্থান করেছে।

    ভারতীয় ইউরেশীয় প্লেট দুটি দীর্ঘদিন যাবত হিমালয়ের পাদদেশে আটকে আছে এবং অপেক্ষা করছে বড় ধরনের নড়াচড়ার যখন এই প্লেটগুলো নাড়াচড়া করে তখন ওই ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়, বাংলাদেশে ভূমিকম্পের সৃষ্টির জন্য আটটি ভূতাত্বিক চ্যুতি এলাকা বা ফল্ট জোন সচল অবস্থায় রয়েছে। স্থান গুলোর নাম জেনে নি

    1. বগুড়া চ্যুতি এলাকা
    2. রাজশাহীর তানোর চ্যুতি এলাকা
    3. ত্রিপুরা চ্যুতি এলাকা
    4. সীতাকুণ্ড টেকনাফ চ্যুতি এলাকা
    5. হালুয়াঘাট চ্যুতি এলাকা
    6.  ডাউকি চ্যুতি এলাকা
    7. চট্টগ্রাম চ্যুতি এলাকা
    8. সিলেটের শাহী বাজারচ্যুতি এলাকা
    9. এবং রাঙ্গামাটিরচ্যুতি এলাকা

    বাংলাদেশের মানিকগঞ্জে সর্বপ্রথম ১৮৫০ সালের ১৪ জুলাই সেভেন প্লাস স্কেলে ভূমিকম্প হয়েছিল। ১৯১৮ সালের ৮ জুলাই বাংলাদেশের শ্রীমঙ্গলে সেভেন পয়েন্ট সিক্স রিক্টার স্কেলে ভূমিকম্প হয়েছিল। প্রকৃতিতে মূলত কার্বন চক্রের প্রভাবে ভূমিকম্প সংঘটিত হয়ে থাকে বাংলাদেশ ও তার ব্যতিক্রম না বাংলাদেশের ভেতরে ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রায় ২৫০ বছরের ভূমিকম্পের নথিভুক্ত তালিকা পাওয়া যায়। 

    এ নথিপত্র থেকে পাওয়া যায় যে ১৯০০ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ১০০ টিরও বেশি ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছিল তার মধ্যে ৬৫ বেশি ঘটেছে ১৯৬০ সালের পরে। তাহলে আমরা বলতে পারি গত ৩০ বছরে ভূমিকম্প সংগঠনের মাত্রা বেশি। 

    আরো পড়ুনঃ সবচেয়ে কম সময়ে বেশি টাকা গেম খেলে ইনকামের উপায় 

    অতীতের এসব রেকর্ড থেকে গবেষকেরা বলেছেন যে যেকোনো সময় বাংলাদেশে ৮ রিখটার স্কেল মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। গবেষকেরা বলেছেন ভূকম্পন এলাকাভিত্তিক মানচিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায় বাংলাদেশের ৪৩% এলাকা ভূমিকম্পের উচ্চতর ঝুঁকিতে রয়েছে।

     ভূমিকম্প বাংলাদেশ ২০২৪

    ২০২৩ সালের ৬ই মে রোজ শুক্রবার সকাল ৫:৪৫ মিনিটে রাজধানী ঢাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল দোহা উপজেলা। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে যে ভূমিকম্পটি ছিল  4.3মাত্রার।

    এবং উৎপত্তিস্থলে এর গভীরতা ছিল প্রায় ১০ কিলোমিটার। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেন ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে অবস্থান করছে। ভূমিকম্পের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের খুব স্পষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। 

    ভূমিকম্পের মূল কারণ কি

    চলুন বন্ধুরা জেনে নি ভূমিকম্পের মূল কারণ কি। ভূমিকম্পের কয়েকটি মূল কারণ রয়েছে আমরা এখন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেব। ভূমিকম্পের মূল কারণ তিনটি হলেও এর সাথে আরো কয়েকটি কারণ তো আছে চলুন জেনে নেই ভূমিকম্পের মূল কারণ সমূহ।

    ভূপৃষ্ঠ জনিত সমস্যাঃ অনেকগুলো প্লেটের সমন্বয়ে ভূপৃষ্ঠ গঠিত। প্লেট গুলোর মধ্যে যথেষ্ট ফাটল বা ফল্ট থাকে আর এই প্লেটগুলোর নিচে ভূগর্ভের অভ্যন্তরের সকল পদার্থ গলিত অবস্থায় বিরাজ করে। কোন কারনে যদি ভূগর্ভের অভ্যন্তরের এই গলিত পদার্থ গুলোর স্থান চুক্তি ঘটে তাহলে প্লেট গুলোর ও স্থানচ্যুত ঘটে। যখন একটি ফ্ল্যাট আরেকটি প্লেটের সাথে ধাক্কা খায় বা একটি প্লেট আরেকটি প্লেটের ভেতরে ঢুকে যায় তখন ওই ভূমিতে কম্পোনির সৃষ্টি হয়। আর এই কম্পনকে আমরা ভূমিকম্প বলে থাকি।

    আরো পড়ুনঃ কোন গেম খেলে টাকা আয় করা যায় বিকাশে

    আগ্নেয়গিরিজনিত সমস্যাঃ কখনো কখনো আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয় কারণ আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের সময় বিস্ফোরণ ও গলিত লাভা উৎক্ষিপ্ত হয়। যার কারণে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়।

    শিলাতে ভাজের সৃষ্টি হলেঃ পৃথিবীর অভ্যন্তরে অবস্থিত শিলা সমূহের চুক্তি ঘটলে বা শিলাতে ভাজের সৃষ্টি হলে ভূত্বকের কোন স্থান উপরে উঠে যায় বা কোন স্থান নিচে নেমে যায় ভূপৃষ্ঠের এই উঠানামাকে ভূমিকম্প বলা হয়।

    ভূপাত হলেঃ কোন কোন সময় ভূপাতের ফলে ও ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়। পাহাড়-পর্বত হতে বৃহৎ তেলা খন্ড কোন কোন সময় ভূপৃষ্ঠের উপর ধসে পড়ে পাহাড় পর্বতের এই ধসে পড়ার উপর ভিত্তি করে পরবর্তী ভাগের সৃষ্টি হয় যা থেকে ভূমিকম্প উৎপত্তি লাভ করে।

    তাপ বিকিরণের ফলেঃ তাপ বিকিরণের ফলে ভূপৃষ্ঠ সংকুচিত হয়ে পড়ে এবং ভূপৃষ্ঠে ফাটল ও ভাজের সৃষ্টি হয় যার ফলে ভূমিকম্প হয়।

    হিমবাহের প্রভাবেঃ অনেক সময় হিম্বয়ার প্রভাবে পর্ব তসমূহ হঠাত করে নিচ থেকে পতিত হয় এতে ভূত্বক কেঁপে ওঠে এবং ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়।

    ভূমিকম্পের ফলাফল

    ভূমিকম্পের ফলাফল অত্যন্ত ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে সারা পৃথিবীতে  অনেক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয় ও পরিবর্তন হয়। চলুন তাহলে বন্ধুরা জেনে নিই ভূমিকম্পের পার্থক্য ও পরোক্ষ ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে। যখন ভূমিকম্প হয় তখন পৃথিবীতে অনেক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়. ভূত্বকের অনেক জায়গায় ফাটল সৃষ্টি হয় এবং অনেক জায়গায় চ্যুতির সৃষ্টি হয়। কখনো কখনো সমুদ্রপৃষ্ঠ অনেক উপরে উঠে আসে আবার কখনো কখনো স্থলভাগ অনেক নিচে সমুদ্রগড়ে তলিয়ে যায়। 

    ভূমিকম্পের ফলে অনেক সময় নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয় অনেক সময় নদী বন্ধ হয়ে যায়। ভূমিকম্পের সময় যে ঝাকুনি হয় সেই ঝাকুনিতে পর্বতের গা বেয়ে বরফখন্ড নিজ দিকে পতিত হয় যার ফলে পর্বতের পাদদেশে বড় ধরনের ক্ষতির সাধিত হয়। ভূমিকম্পের ধাক্কার ফলে সমুদ্রের পানি নদীর তীরবর্তী স্থান থেকে অনেক নিচে নেমে যায় আবার পক্ষান্তরে গর্জন করে ১৫ থেকে ২০ মিটার সৃষ্টি করে উপকূল এলাকার জনগণকে ভাসিয়ে দেয় সাগরের অতল গহীনে। 

    আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত রচনা সম্পর্কে জেনে নিন

    এই ধরনের জলোচ্ছ্বাস আমাদের কাছে সুনামি হিসেবে পরিচিত 26 শে ডিসেম্বর ২০০৪ সালে ভূমিকম্পের ফলে বিশ্ব নামের সৃষ্টি হয়েছিল তার আঘাতে ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়া শ্রীলংকা থাইল্যান্ড ও ভারত সহ প্রকৃতির দেশের জান মালের অনেক ক্ষতি সাধিত হয়েছিল। ভূমিকম্প কখনো উঁচু ভূমিকে খন্ড-বিখন্ড করে ভূমিতে পরিণত করে দেয়। আবার কখনো ভূপৃষ্ঠকে তলিয়ে গর্তে বা খাদের সৃষ্টি করে।

    যে এলাকায় ভূমিকম্প সংঘটিত হয় সে এলাকায় দুর্ভিক্ষ ও মহামারী দেখা দেয় কারণ ভূমিকম্প একটি এলাকার পরিবেশকে ছিন্নবিছিন্ন করে দেয়। যাতায়াত ব্যবস্থা , টেলিফোন লাইন  ,পথ  ,পাইপ লাইন ইত্যাদি ভেঙে যায় ।অচল হয়ে যায় ।যার ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপনের বাধা গ্রস্থ হয় এবং অনেক বড় সমস্যার সম্মুখীন হয়।

    ভূমিকম্পের সময় কি হয় 

    ভূমিকম্পের সময় ব্যক্তিগত পর্যায়েও কিছু করণীয় আছে চলুন সেগুলো জেনে নেই-

    • ভূমিকম্প শুরু হলে আতঙ্কিত হওয়া উচিত নয়
    • ভূমিকম্প শুরু হলে বিছানার নিচে , শক্ত টেবিল বা শক্ত কোন আসবাবপত্রের নিচে আশ্রয় নিতে হবে।
    • রান্নাঘরে থাকলে গ্যাসের চুলার লাইন অফ করে তাড়াতাড়ি বাইরে চলে আসতে হবে
    • শক্ত বিম , কলাম বা পিলারের পাশে আশ্রয় নিন
    • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালে ব্রাঞ্চি ,টেবিলের নিচে আশ্রয় নিন
    • ভূমিকম্পের সময় উঁচু গাছপালা  ,উঁচু বাড়ি ও বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে অবস্থান করতে হবে।
    • গার্মেন্টস  ,ফ্যাক্টরি  ,মার্কেট অবস্থানকালে ভূমিকম্প শুরু হলে তাড়াহুড়া করে সিঁড়ি বেয়ে নামার কোন প্রয়োজন নেই দুই হাত দিয়ে মাথা ঢেকে ভালো কোন জায়গা দেখে বসে পড়ুন।

     ভূমিকম্পের শক্তি কত

    ভূমিকম্পের শক্তি হচ্ছে ০-১০ মাত্রা। ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রোজ সোমবার সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলের নিকট তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বড় শহরের ভূমিকম্প আঘাত এনেছিল সেই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিক্টার স্কেলে ৭.৮। এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল তুরস্কের কাহরা প্রদেশের পাজারসিক এলাকা। ১১ থেকে ১২ ঘণ্টা পরে আরেকটি ভূমিকম্প এনেছিল এটির মাত্রা ছিল রেকটার স্কেলে ৭.৬। 

    সেভেন এর উপরের মাত্রার ভূমিকম্পকে বড় ধরনের ভূমিকম্প বলা হয় এবং খুবই শক্তিশালী ভূমিকম্প বলা হয় কারণ তুরস্কের ভয়াবহ ও ক্ষয়ক্ষতির কথা তো আমরা সকলেই শুনেছি এবং দেখেছি। ভূমিকম্প সাধারণত কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট স্থায়ী হয় তবে অনেক সময় শোনা গেছে কোন কোন ভূমিকম্প 8 থেকে 10 মিনিটও স্থায়ী হয় মাঝে মাঝে হালকা কম্পন এবং মাঝে মাঝে অনেক বড় কাপুনি দিয়ে আছে ভূমিকম্প। 

    ভূমিকম্প অনেক বেশি শক্তিশালী যা বড় বড় পাহাড় , বিল্ডিং , এবং বড় বড় গাছপালা নিমিষেই চুরমার করে দেয় এবং অনেক বড় বড় গর্ত ওখাদের সৃষ্টি করে। তাহলে বন্ধুরা বুঝতে পারছি ভূমিকম্পের শক্তি কতটা প্রখর।

    ভূমিকম্প মাপা হয় কি দিয়ে

    আমরা কমবেশি সকলে ভূমিকম্প কথাটির সাথে পরিচিত । প্রতিবছরই ভূমিকম্প সংঘটিত হয় কোন কোন বছর দুই থেকে তিনবার ও ভূমিকম্প হওয়ার নজির আছে।  রিখটার স্কেলের সাহায্যে ভূমিকম্পের তীব্রতা পরিমাপ করা হয়। কিন্তু ভূমিকম্পের রেকর্ড করা হয় সিসমো মিটারের সাহায্যে অর্থাৎ ভূমিকম্প মাপক যন্ত্রের নাম হচ্ছে সিসমোগ্রাফ আর ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপক যন্ত্রের নাম হচ্ছে রিখটার স্কেল।

    শেষ কথা:বাংলাদেশে ভূমিকম্পের কারণ  - ভূমিকম্প বাংলাদেশ ২০২৪

    ভূমিকম্প শুরু হলে পৃথিবীর প্লেটগুলো কম্পিত হয় এবং প্লেট গুলোর মধ্যে কম্পন ও ফাটানোর সৃষ্টি হয় আর এর জন্য ভূমিকম্পের আকার এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ভয়াবহ হয়। ভূমিকম্প যে স্থান থেকে উৎপত্তি লাভ করে সেই স্থানকে ভূমিকম্পের কেন্দ্র বলা হয়। এবং সেই স্থান থেকে ভূমিকম্প উৎপত্তি লাভ করে আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

    ভূমিকম্প সাধারণত ভূপৃষ্ঠের কেন্দ্রস্থল থেকে উৎপত্তি হয়ে 16 কিলোমিটার এর মধ্যে অবস্থান করে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে যে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল ঢাকায়। সেই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল 4.3 মাত্রার স্কেলে। বাংলাদেশে ১৯১৮ সালের ১৮ জুলাই শ্রীমঙ্গলে সর্বোচ্চ শক্তির ভূমিকম্প সংগঠিত হয়েছিল। এই ভূমিকম্পের শক্তি মাত্রা ছিল 7.6 রেক্টার স্কেল। 

    এই পর্যন্ত আর এত শক্তির ভূমিকম্প বাংলাদেশের সংঘটিত হয়নি। তো বন্ধুরা আপনারা আজকে জানলেন,বাংলাদেশে ভূমিকম্পের কারণ  - ভূমিকম্প বাংলাদেশ ২০২৪ সম্পর্কে। আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। সকলেই ভাল থাকবেন-আল্লাহ হাফেজ!

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url