রাজহাঁস পালন ও পরিচর্যা রোগ এবং প্রতিকার
প্রিয় পাঠক, রাজহাঁস পালন করে আর্থিক ভাবে অনেকে লাভবান হয়েছেন। রাজহাঁস গৃহপালিত পাখি প্রায় বহু যুগ ধরে মানুষ রাজহাঁস পালন করে লাভবান হয়েছেন । বলা যেতে পারে গৃহপালিত পাখির মধ্যে মানুষ প্রথম পালন করেছিলো এই রাজহাঁস ।
রাজহাঁস পালন ও পরিচর্যা রোগ এবং প্রতিকার, রাজহাঁসের খাদ্য তালিকা, রাজহাঁস কতো দিনে ডিম দেয়, রাজহাঁসের রোগ সমূহ, সহ সকল তথ্য বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি, আর্টিকেল দ্বারা আপনারা অনেক উপকৃত হবেন। তাই ধৈর্য্য ও মনোযগ সহকারে পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইলো -
ভূমিকা : রাজহাঁস পালনে অনেক সুবিধা রয়েছে, এই রাজহাঁস পাখি ডিম বিক্রি বা ডিম ফুটিয়ে রাজহাঁসের ছানা বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন এবং আপনার বাড়ি পাহারা দিয়ে আপনাকে উপকৃত করবে । রাজহাঁসের মাংস অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। আমার অনেক অনেক ভালো লাগে এই রাজহাঁস পাখি।
রাজহাঁস পালনের গুরুত্ব
রাজহাঁস পালনের এই বৈশিষ্ট্যমূলক বিশ্লেষণ আপনার প্রতিষ্ঠানে একটি বাণিজ্যিক উদ্যোগ চালাতে সাহায্য করে এবং এটি আপনার আর্থিক সফলতার দিকে পথ দেখাতে সক্ষম। রাজহাঁস পালন ব্যবসা হিসেবে একটি উচ্চমান এবং সারাদেশে প্রসারিত করার জন্য অভিন্ন সম্ভাবনার মুখোমুখি হয়ে থাকে।
এছাড়াও, এই পাখিগুলির মাংস এবং অন্যান্য পণ্যগুলির জন্য দারিদ্র্য দূর করতে এটি একটি গুড উপায়। এই মৌলিক পদ্ধতিতে রাজহাঁস পালনের গতি এবং ওজন বৃদ্ধি দেখা গেছে যেটি অনেক ক্ষেত্রে কৃষকদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। একইভাবে, ৬০ থেকে ৭০ দিনে এই পাখির ওজন বৃদ্ধির ধারণা করা হয়েছে।
রাজহাঁস মোটামুটি ৬০-৭০ দিনের মধ্যে বৃদ্ধি হতে থাকে এবং এই সময়ে তাদের ওজন প্রায় ৫ কেজির বেশি হতে পারে। এই পর্যাপ্ত সময়ে রাজহাঁস বড় হয়ে যায় এবং বাজারে উন্নত ওজনের রাজহাঁস দেওয়া সহজ হয়। এটি খামারির জন্য একটি উত্তম সংকীর্ণন পদ্ধতির উল্লেখযোগ্য , যা মৌলিক ও সাধারণত শখের জন্য একটি আকর্ষণীয় বিকল্প।
রাজহাঁস পালনে এই অধিকতর খরচ কম থাকে কারণ এই রাজহাঁস পাখির পোষণের জন্য বিভিন্ন প্রকারের খাবার প্রয়োজন হয় না, বরং সাধারিত খাদ্য পদার্থগুলি সহজভাবে উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি স্থানীয় উৎপাদিত খাদ্যের ব্যবস্থা করতে সহায়ক, যা প্রয়োজনে খরচ কমিয়ে আনে।
রাজহাঁস সাধারণতভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে গিয়ে খাদ্যের দিকে কোনো ব্যয় হয় না, কারণ তারা এসব সাধারিত খাদ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন মানে গুঁড়া, ধান, ভাত, ঘাস, লতাপাতা ইত্যাদি খায়। তাদের উপরের খাদ্য উৎপাদনে জন্য আমের কম এবং এই পাখির পোষণ হয়ে যায়।
এছাড়া, রাজহাঁস পালনে বাহিরের বাড়ির ব্যবসায়িক খাবারে দ্বিধা হয় না এবং স্থানীয় উৎপাদনের খাদ্য ব্যবসায়ী প্রাণীদের জন্য তৈরি করতে সাহায্য করে। এটি একটি ভারপ্রাপ্ত এবং সাহজে পরিচালনা যোগ্য পালন ব্যবসা হিসেবে ব্যবহার হয়।
রাজহাঁসের খাদ্য তালিকা
রাজহাঁসের খাদ্য তালিকা মূলত তাদের পূর্ণসংখ্যানের স্বাভাবিক পুষ্টি ও স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাণিজ্যিক রাজহাঁস পালনের ক্ষেত্রে, তাদের খাবার অতি মৌলিক এবং পুষ্টিকর হতে হবে। তারা দৈনন্দিন খাবারের জন্য নিম্নলিখিত খাদ্য পণ্যগুলি প্রয়োজন বা সহায়ক হতে পারে:
- সরগম ভাঙ্গা: গম ভাঙ্গা অথবা সরগম ভাঙ্গা রাজহাঁসের পুষ্টি যোগদানে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।
- ছোলা ভাঙ্গা: প্রোটিনের উৎস হিসাবে উল্লেখযোগ্য ছোলা ভাঙ্গা খাদ্য দিয়ে রাজহাঁসের স্বাস্থ্য ও উন্নতির জন্য সহায়ক হতে পারে।
- গম ভাঙ্গা: গম ভাঙ্গা রাজহাঁসের জন্য একটি পুষ্টিকর অপশন হতে পারে, যা তাদের প্রোটিন ও অন্যান্য পুষ্টি সরবরাহ করে।
- ধান: ধান তাদের প্রধান খাবারের একটি অংশ হিসাবে গণ্য হতে পারে, যা তাদের পুষ্টি ও শক্তি উন্নত করে।
- মিট মিল: মিট মিল রাজহাঁসের জন্য প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হতে পারে।
- লার্সান মিল: লার্সান মিলের খাদ্য রাজহাঁসের ক্ষুদ্র জীবনধারা ও উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয়।
- পোলার্ড: পোলার্ড তাদের পুষ্টি সরবরাহ করে এবং তাদের প্রতিরক্ষা প্রদান করে।
- গুঁড়া দুধ: গুঁড়া দুধ রাজহাঁসের উচ্চ পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা পূরণে সাহায্য করে।
- লবণ: লবণ অস্ত্রোচ্ছলতা বা মিনারেল মিশ্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস হতে পারে।
এই খাদ্য তালিকার মাধ্যমে রাজহাঁসের সঠিক পুষ্টি সরবরাহ করা হয়, যাতে তারা সুস্থ এবং শক্তিশালী থাকতে পারে। এই খাদ্য তালিকা অনুযায়ী রাজহাঁসের উন্নত প্রকার এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখা সম্ভব। তবে, এই খাদ্য দান বা তাদের অন্যান্য আহারের সাথে মিশে তাদের মাসুদা এবং স্বাস্থ্য অবস্থা অনুযায়ী সঠিক অনুমান নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
রাজহাঁসের বাসস্থান নির্মাণ
- জায়গা সিলেক্ট করুন: রাজহাঁসের জন্য জমি উচু এবং পানি নিয়ে উঠতে না পারতে হবে। খোলামেলা এবং আলোবাতাস একটি শোভন এবং সুস্থ বাসস্থান সৃষ্টি করতে সাহায্য করতে পারে।
- জায়গা পরিমাণ: একটি রাজহাঁসের জন্য কমপক্ষে ৩ বর্গ মিটার জায়গা প্রয়োজন। এই জায়গাতে তারা স্বতন্ত্রভাবে ঘুরতে পারবে এবং পোষ্যবাতি তৈরি করতে পারবে।
- বাসস্থান নির্মাণ: রাজহাঁসের বাসস্থান হতে হবে খোলামেলা এবং আলোবাতাস প্রবাহের সাথে। ছাদ বাঁশ বা টিন দিয়ে তৈরি করা একটি উপায়।
- বিছানা নির্মাণ: রাজহাঁসের জন্য লিটার বিছানা দিতে হবে। কাঠের গুঁড়ি, ভূষি, বালি ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা হয় এবং সর্বনিম্ন ১০ সে. মি. পুরু করে লিটার দেওয়া হবে।
- উচ্চতা ও প্রস্থ নির্ধারণ: রাজহাঁসের বাসস্থানের উচ্চতা সর্বোচ্চ ৩-৪ সে. মি. দৈর্ঘ্যে এবং প্রস্থে খামারির হাঁসের পরিমাণ অনুযায়ী হতে পারে।
রাজহাঁস কতো দিনে ডিম দেয়
রাজহাঁস একটি বহুপ্রজনন পশু, এবং তার ডিম দেওয়ার প্রক্রিয়াটি তার বয়স এবং উপার্জনের সাথে সম্পর্কিত।
- ৭ মাস বয়সে ডিম দেওয়া: রাজহাঁস ৭ মাস বয়সে প্রায় ডিম দেওয়া শুরু করতে থাকে। এই সময়ে প্রথম ডিম দেয়া হয়।
- ৮ মাসে উত্তীর্ণ হলে ডিম দিতে থাকে: রাজহাঁস ৮ মাস বয়সে উত্তীর্ণ হলে, অর্থাৎ সত্তর মাস পূর্ণ হলে, ডিম দিতে থাকে।
- বছরে দুইবার ডিম দেওয়া: রাজহাঁস এক বছরে প্রায় দুইবার ডিম দেয়। একবার ডিম দেয়ার পর তার শরীরিক অবস্থা, খাদ্য প্রাপ্তি, ও পুষ্টিকর অবস্থা মনিটর করতে গুজব হবে।
- একটানা ৬-১২ টি ডিম: যখন রাজহাঁস ডিম দেয়, তখন সাধারিতভাবে ৬ থেকে ১২ টি ডিম একটানা হয়।
তাই, রাজহাঁসের ডিম দেওয়ার সময় সাধারণত তাদের বয়স ও প্রাকৃতিক উত্তীর্ণতার উপর নির্ভর করে।
রাজহাঁসের রোগ সমূহ
অন্যান্য গৃহপালিত পশু পাখির চেয়ে রাজহাঁস রোগ প্রতিরোধে সক্ষম। কিন্তু যে দুটি রোগের কারণে রাজহাঁস গুরুতরভাবে অসুস্থ হয় তা হলো ঃ
- প্লেগ রোগ
- কলেরা রোগ
ক) রাজহাঁসের প্লেগ রোগ: রাজহাঁসের এই প্লেগ রোগ হলো ভাইরাস জনিত রোগ । আর এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কীভাবে বুঝবেন এবং এই রোগের প্রতিরোধ ও প্রতিকার কীভাবে করবেন এসব নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো। তো আসুন প্রথমে জেনে নিই প্লেগ রোগের লক্ষণ গুলো -
- ভয় করে আলো দেখলে: রাজহাঁস সাধারিত ভাইরাস বা অন্যান্য স্বাভাবিক ঘটনা না থাকলেও অবশ্যই কিছু ভয়াবহ হতে পারে।
- সাঁতরাতে পুকুরে চায় না: রাজহাঁস স্বাভাবিকভাবে জলাভূমির প্রেমিক, তবে এই লক্ষণটি মোকাবিলা করার একটি চিহ্ন হতে পারে যে তার স্বাস্থ্যে সমস্যা আছে।
- নাকের ভেতর থেকে তরল পদার্থ বের হতে দেখা যায়: এটি শ্বাসকষ্টের একটি লক্ষণ হতে পারে, যা শ্বাসকষ্টের সময় সাধারিত নয়। আক্রান্ত হলে নাকের ভেতর থেকে তরল পদার্থ বের হতে দেখা যেতে পারে।
- কোনো খাবার খেতে চায় না কিন্তু ঘন ঘন পানি খায়: আক্রান্ত রাজহাঁস খাবার খেতে আগ্রহী নয়, তবে ঘন ঘন পানি খায়। এটি খাদ্য পরিস্থিতির একটি লক্ষণ হতে পারে, যা রাজহাঁস কোন কারণে খাদ্য পরিস্থিতির প্রতি অসুস্থ হয়েছে তা দেখায়।
- পাতলা মল ত্যাগ করে যা হলুদ এবং সবুজ রঙের মতো দেখা যায়: আক্রান্ত হলে রাজহাঁসের মল হলুদ এবং সবুজ রঙের হতে পারে। পাতলা মল দেখায় রক্তের কোনও মিশ্রণ বা ইনফেকশনের চিহ্ন হতে পারে।
- রাজহাঁসের পাখা ও পা অবশ হয়ে যাই: এটি শারীরিক অসুস্থতার সূচক হতে পারে যে রাজহাঁস কিছু সময় থেকে অসুস্থ হয়েছে বা তার শারীরিক অবস্থা স্থায়ী নয়।
- রাজহাঁসের পশম-গুলো এলোমেলো দেখা যায়: পশমের অবস্থা একটি আপেক্ষিক সূচক হতে পারে যে রাজহাঁসের স্বাস্থ্যে সমস্যা আছে।
- চোখ গুলো ফুলে থাকে, মনে হয় যে চোখের পাতা আটকে গেছে এবং খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটতে দেখা যায়: এই চিহ্নগুলি চোখ বা চোখের পার্শ্বভূমির সমস্যার চিহ্ন হতে পারে।
- মাথা ঘাড় বাঁকিয়ে উপরের দিকে তুলে থাকে: এই লক্ষণটি হাঁসের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সমস্যা আছে এবং এটি একটি প্রতিক্রিয়া হতে পারে যা চিকিৎসক বা পশু চিকিত্সকে দেখাতে উপযোগী।
- হাঁসকে কাঁপতে দেখা যায়: হাঁসের শারীরিক অসুস্থতার একটি সাধারিত প্রতিক্রিয়া যা সময়ের সাথে অবস্থা হতে পারে।
এই লক্ষণগুলি যদি রাজহাঁসের স্বাস্থ্য সম্পর্কে আপনার সন্দেহ বাড়ায়, তবে অবিলম্বে একজন ভেটেরিনারি বা পোশাক চিকিত্সকে দেখাতে সহায়ক হতে পারে।
ভাইরাস জনিত প্লেগ রোগ দ্বারা আক্রান্ত হলে তার প্রতিরোধ ও প্রতিকারে কিছু উপায় আছে, যা নিম্নে উল্লেখ করা হয়েছে:
- খামারে প্রবেশের আগে সতর্কতা: খামারে প্রবেশের আগে নিজেকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য কাউকে খামারে প্রবেশ করতে বা পোশাক পরিবর্তন করতে বলা হবে।
- খামার পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা: খামারির খামার ও তাদের পরিবারের খামারগুলি ভালোভাবে ধুতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে এবং সকল জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
- আক্রান্ত হাঁসের আলাদা করা: রাজহাঁস প্লেগ রোগে আক্রান্ত হলে, ভালো হাঁস গুলোর মধ্য হতে ঐ আক্রান্ত হাঁসটি আলাদা করে রাখতে হবে যাতে সম্ভাবনা থাকে অন্য হাঁসগুলি সংক্রমিত হতে না পারে।
- মারা গিয়ে এল হাঁসের মাটি খুঁড়ে পুঁতে রাখা: আক্রান্ত হাঁস মারা গিয়ে এলে ঐ হাঁসটির মাটি খুঁড়ে পুঁতে হবে যাতে বাকি মৃত হাঁসগুলি সংক্রমিত হতে না পারে।
- হাঁসের টিকা: রাজহাঁসের বাচ্চার জন্য ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে প্রথম টিকা এবং বয়স যখন ১ মাস হবে তখন দ্বিতীয় টিকা অতঃপর ৬ মাস পর-পর টিকা দেওয়া হবে হাঁসের মাংসপেশীতে রানে অথবা বুকে (১ মি. লি.) করে ইন্জেকশন দেওয়া হবে।
এগুলি অনুসরণ করলে হাঁসগুলির প্লেগ রোগের প্রতিরোধ ও প্রতিকার করা সহজ হতে পারে।
খ) রাজহাঁসের কলেরা রোগ: রাজহাঁসের কলেরা রোগ হলো ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ রাজহাঁসের কলেরা রোগ হলে কীভাবে বুঝবেন এই রোগের লক্ষণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকার নিম্নে আলোচনা করা হলো। আসুন জেনে নেয়া যাক কলেরা রোগের লক্ষণ গুলো -
- রাজহাঁসের কলেরা রোগের লক্ষণগুলি:পাতলা মল ত্যাগ করে যা হলুদ এবং সবুজ রঙের মতো দেখা যায়: আক্রান্ত রাজহাঁস পাতলা মল ত্যাগ করতে পারে, যা হলুদ এবং সবুজ রঙের হতে পারে।
- ঠোঁট ও কানের লতি নীল বর্ণের দেখা যায়: রোগে আক্রান্ত হলে হাঁসের ঠোঁট এবং কানের লতি নীল হতে পারে।
- মাথা এবং হাটু ফুলে যায়: কলেরা রোগে আক্রান্ত রাজহাঁসের মাথা এবং হাটু ফুলে যেতে পারে।
- চোখের পাতাগুলো ফুলে থাকে: আক্রান্ত রাজহাঁসের চোখের পাতাগুলো ফুলে থাকতে পারে।
- চোখ ও নাক দিয়ে পানি ঝরে এবং মুখের ভেতর থেকে তরল লা লা বের হতে দেখা যায়: আক্রান্ত রাজহাঁসের চোখ ও নাক দিয়ে পানি ঝরতে পারে এবং মুখের ভেতর থেকে তরল লা লা বের হতে দেখা যায়।
- পশম-গুলো এলোমেলো দেখা যায়: আক্রান্ত রাজহাঁসের পশম এলোমেলো হতে পারে।
- পাখা ঝুলে যায়: আক্রান্ত হাঁসের পাখা ঝুলে যাতে পারে।
- খাবার খেতে আগ্রহী নয়: রোগে আক্রান্ত রাজহাঁস খাবার খেতে অনিচ্ছুক হতে পারে।
- কম ডিম দেয়: রাজহংসী যদি ডিম দেয়া অবস্থায় বা ডিম দেয়ার কিছুদিন আগে এই কলেরা রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে কম ডিম দেয়।
- মারা যাওয়ার আগে হাঁসগুলি হঠাত করে মারা যায়: রোগে আক্রান্ত হলে রাজহাঁসগুলি হঠাত মারা যাতে পারে।
কলেরা রোগ হলে, এই লক্ষণগুলো দেখা যায়। তো এই কলেরা রোগ ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে করণীয়। নিম্নে প্রতিরোধ ও প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করা হলো -
- খামারে প্রবেশের আগে নিজেকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করুন: খামারে প্রবেশ করার আগে সম্ভাব্য ব্যাকটেরিয়া জনিত সমস্যার মোকাবেলার জন্য নিজেকে ভালোভাবে পরিষ্কার রাখুন।
- খামার এবং খাদ্য সম্পর্কে সতর্ক থাকুন: খামার ও খাদ্যের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। খাদ্য উৎপাদনের জন্য সুস্থ এবং পরিষ্কার কারখানা ব্যবহার করুন।
- আক্রান্ত হাঁসকে আলাদা রাখুন: কলেরা রোগে আক্রান্ত হাঁসকে অন্য হাঁসগুলি থেকে আলাদা রাখতে হবে যাতে রোগ ছড়ানো না যায়।
- মারা গিয়ে যাওয়া হাঁসটির মাংস বা অংশ আলাদা রাখুন: মারা গিয়ে যাওয়া হাঁসটির মাংস বা অংশটি অবশ্যই আলাদা রাখতে হবে যাতে অন্য হাঁসগুলি সংক্রমিত হতে না পারে।
- টিকা দিন: রাজহাঁসের কলেরা রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর 14 দিন বয়সে রানের মাংসপেশীতে টিকা দিতে হবে।
- ভেটেরিনারি পরামর্শ নিন: রোগে আক্রান্ত হাঁসের জন্য তাড়াতাড়ি ভেটেরিনারি পরামর্শ নিতে হবে এবং সঠিক চিকিৎসা ও যত্ন নেওয়া হবে।
- অগাড় চুক্তি প্রয়োজনে প্রদান করুন: অগাড় চুক্তি প্রয়োজনে প্রদান করুন এবং খাদ্য ও পানি প্রদানের সাথে তাদের সুস্থ রাখুন।
- নিয়মিত চেকআপ করুন: রাজহাঁসগুলির স্বাস্থ্যমন্ত্র হিসেবে নিয়মিত চেকআপ করতে হবে এবং তাদের ভালো চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।
এই সতর্কতা ও পুরস্কৃত পদক্ষেপগুলি নেয়া ভালো এবং নিরাপদ হাঁস পালনে সাহায্য করতে পারে এবং রাজহাঁসের কলেরা রোগ প্রতিরোধে মাধ্যম হতে পারে।
শেষ কথাঃ রাজহাঁস পালন ও পরিচর্যা রোগ এবং প্রতিকার
যদি রাজহাঁসের বাচ্চার জন্মের শুরু থেকেই আপনি টিকা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় আপনার খামারের হাঁস পালন করতে পারেন তাহলে উপরক্ত রোগের আক্রমণ থেকে হাঁসকে বাঁচানো সম্ভব হতে পারে। আর এই রোগগুলো আক্রমণ থেকে হাঁসকে যদি আল্লাহ হেফাজত করেন তাহলে অবশ্যই একজন খামারি আর্থিক সফলতা অর্জন করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
প্রিয় বন্ধুরা, রাজহাঁস পালন বা খামার প্রকল্পের মাধ্যমে কিভাবে লাভবান হতে পারবেন তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি, আমাদের এই আর্টিকেল পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। ভালো লাগলে পরিচিতদের সাথে শেয়ার করবেন।। এধরনের আরো তথ্য পেতে পেজটি প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url