সুদ কি - ইসলাম ও বিভিন্ন ধর্মে সুদ সম্পর্কে আলোচনা

আপনারা নিশ্চয় জেনেছেন আজকের আলোচনা কি নিয়ে। আজকের আলোচনা হচ্ছে সুদ কি - ইসলাম ও বিভিন্ন ধর্মে সুদ সম্পর্কে আলোচনা।সুদ কি - ইসলাম ও বিভিন্ন ধর্মে সুদ সম্পর্কে আলোচনা কিভাবে করা হয়েছে আজকে আমরা সে সম্পর্কে আলোচনা করো। তাহলে চলুন জেনে নেই সুদ কি - ইসলাম ও বিভিন্ন ধর্মে সুদ সম্পর্কে আলোচনা।
সুদ কি - ইসলাম ও বিভিন্ন ধর্মে সুদ সম্পর্কে আলোচনা
সুদ খুবই খারাপ জিনিস। যে সকল ব্যক্তি সুদ দেওয়া-নেওয়া এই ব্যাপারে সম্পৃক্ত থাকেন তারা সকলেই সমান অপরাধী। সুদ কি - ইসলাম ও বিভিন্ন ধর্মে সুদ সম্পর্কে আলোচনা এই সম্পর্কে কি আপনি জানেন না জেনে থাকলে এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। আজকে আমরা আলোচনা করব সুদ কি-সুদের ব্যাপক পরিচিতি, সুদের বিভিন্ন রোপ/সুদ ও মুনা্ফার মধ্যে পার্থক্য, ইসলাম ধর্মে সুদখোরকে শয়তানের সাথে তুলনা করেছে, সুদ থেকে বেরিয়ে আসার উপায় সর্ম্পকে।

সুদ কি- সুদের ব্যাপক পরিচিতি

প্রশ্ন হলো, সুদ কি - ইসলাম ও বিভিন্ন ধর্মে সুদ সম্পর্কে আলোচনা। একটু ভালো করে বুঝতে হবে। কারণ আমাদের চারপাশে যে সুদ প্রচলিত আছে,সুদ মূলত এগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সুদের সংজ্ঞা আমরা এবং বলতে পারি যে ঋনের বিপরীতে কোন লাভ হয়েছে তাকেই সুদ বলা হয়।ইংরেজিতে ইন্টারেস্ট বাংলায় সুদ এবং আরবিতে রিবা মূলত একই কথা। অবশ্যই রিবা আর সুদ একই কথা না। যেহেতু আমাদের কাছে অন্য কোন শব্দ নেই তাই আমরা রিবার তরজমা করছি সুদ দিয়ে।

আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয় ?

কিন্তু হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রিবার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এভাবে বলেছেন, স্বর্ণের বিপরীতে স্বর্ণ, রুপার বিপরীতে রুপা, গম এর বিপরীতে গম, যব এর বিপরীতে যব, খেজুরের বিপরীতে খেজু্‌র,  লবণএর বিপরীতে লবণ, সমান সমান হতে হবে এবং নগদ হতে হবে। কেউ যদি বেশি দেয় এবং কেউ যদি বেশি চায় দুজনে সুদের শিকার হলো। দাতা এবং গ্রহীতা উভয় সমান দোষী।

সুদের বিভিন্ন রূপ এবং সুদ ও মুনাফার মধ্যে পার্থক্য

সুদ কি - ইসলাম ও বিভিন্ন ধর্মে সুদ সম্পর্কে আলোচনা এই সম্পর্কে কি আপনি জানেন না জেনে থাকলে এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। সুদের বিভিন্ন ধরন রয়েছে যেমনঃধনের বিপরীতে আমি আপনাকে দের তোলা স্বর্ণ দিচ্ছি এটা ও সুদ।  সুয়া সের রুপার বিনিময় আপনি আমাকে এক সের নতুন রুপা দিচ্ছেন এটাও একটা সুদ। আমার কাছে কেজি ভাল খেজুর আছে আর আপনার কাছে নিম্নমানের খেজুর আছে আপনি সেটা দেড় কেজি দিয়ে আমার কাছে বিনিময় করতে চাইলেন এটা ও সুদ।

আরো পড়ুনঃ দাদ রোগের লক্ষণ ও দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা 

হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেনঃ যে কোন জিনিস সমান সমান হতে হবে এবং হাতে হাতে হতে হবে তাহলে সেটা শুধু নয়। শরীয়তের সুদএর বিষয়টি এতবেশি গুরুত্ব দিয়েছে, যদি ঋণদাতা ও ঋণগ্রহীতার মাঝে আগে থেকে হাতিয়া দেয়া - নেওয়ার কোন রেওয়াজ না থাক তাহলে ঋণ দেওয়া নেওয়ার পর উলামায়ে কেরাম, হাদিয়া দেয়া -নেওয়া কে ও নিষেধ করেছেন।

এটা সুদ নয়। তবুও আলেমগণ বলেছেন সুদের কাছাকাছি। তাই এই জাতীয় হাদিয়াথেকে ও বিরত থাকতে হয়। যেন হাদিয়া আমার ঋণের বিপরীতে নাম হয়ে যায়। মুনাফা শব্দের অর্থ লাভ। লাভ হল আমি ব্যবসা করি, আমি আপনাকে একটা পণ্য দিলাম, আপনি আমাকে টাকা দিলেন তার বিনিময়ে। আমি পন্যটা যে দামে ক্রয় করেছি, তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করেছি এটা হচ্ছে মুনাফা। সুদ হচ্ছে টাকার বিনিময়ে টাকা। 

আমি আপনাকে ১৫ হাজার টাকা দিয়েছি এই মর্মে যে আমাকে এক বছর পরে ১৬৫০০ টাকা দিবেন। আপনার থেকে দেড় হাজার টাকা বেশি  নিবে এটাই হচ্ছে সুদ ।

ইসলাম ধর্মে সুদখোরকে শয়তানের সাথে তুলনা করেছেন

ইসলাম ধর্মের সুদখোরকে উন্মাদ পাগল ও বড় শয়তানের সাথে তুলনা করা হয়েছে। শয়তান তো প্রকৃতপক্ষে জিন। শরীয়ত জিনের বাস্তবতাকে শিকার করে। ঋণগ্রস্থ হলে মানুষ উন্মাদ হয়ে যায়, শয়তান গ্রস্থ মনের মানুষ পথ হারা হয়ে যায়। সুদের মধ্যে এ দুটি বিষয় লক্ষ্য করা যায়। আল্লাহতালা এ দুটো বিষয় কে একসাথে বোঝানোর জন্য শয়তান শব্দটি ব্যবহার করেছেন। 

বোঝাতে চেয়েছেন  সুদখোর জিনগ্রস্থ উন্মাদও গোমরা।সুদ কি - ইসলাম ও বিভিন্ন ধর্মে সুদ সম্পর্কে আলোচনা এই সম্পর্কে কি আপনি জানেন না জেনে থাকলে এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। কোন মানুষকে যখন জেনে ধরে তখন সে উন্মাদ হয়ে পড়ে, কখনো সে নাচানাচি কর্‌ কখনো কাপড় খুলে দেয়, আবার কখনো কাপড় নষ্ট করে ফেলেন। 

সুতরাং শয়তানের বলতে বোঝায় সে পথ হারা হয়ে গেছে সাওয়ার হয়েছে। তার চোখ কান সব বন্ধ হয়ে গেছে। আর এই কারণে সুদখোর বলে থাকে ক্রয়-বিক্রয় সুদের মত...। তাই ইসলামে সুদখোরকে শয়তানের সাথে তুলনা করেছে।

বিভিন্ন ধর্মের সুদ সম্পর্কে আলোচনা

 বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন মনীষীরা সুদ সম্পর্কে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হলোঃ সুপ্রাচীন কাল থেকেই দুনিয়ার সব ধর্মেই সুদকে হারাম করা হয়েছে। তাই প্রতিটি ধর্মেই সুদ হারাম। ইহুদি, খ্রিস্টা্‌ হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ সমূহের সুদ বর্ণনা এসেছে পরিষ্কারভাবে।-ইহুদী ধর্মে এক্সোডাস এ বলা হয়েছে, তোমরা যদি আমার কোন লোককে কোন কিছু ধার দাও, তাহলে সেটা সুদ হিসেবে দিওনা। খ্রিস্টান ধর্মীয় তাই বলা হয়েছে.

হিন্দু শাস্ত্রের  ও সুদ কে নিষিদ্ধ করে পাপ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সুতরাং আমাদের সকলের উচিত ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী জীবন যাপন করা। তাতেই মানুষের কল্যাণ নিহিত।সুদ কি - ইসলাম ও বিভিন্ন ধর্মে সুদ সম্পর্কে আলোচনা এই সম্পর্কে কি আপনি জানেন না জেনে থাকলে এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

থেকে বেরিয়ে আসার উপায়

সুদ কি - ইসলাম ও বিভিন্ন ধর্মে সুদ সম্পর্কে আলোচনা এই সম্পর্কে কি আপনি জানেন না জেনে থাকলে এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। আমাদের সকলের উচিত এই নোংরা কাছ থেকে বেঁচে থাকা। যেহেতু সুদকে আল্লাহ-তায়ালা শয়তানের সাথে তুলনা করেছেন।

একজন ব্যক্তি শয়তানের দাঁড়া আকৃষ্ট  হলে বিভিন্ন ধরনের খারাপ আচরণ ক রে। ঠিক তেমনই একজন ব্যক্তি সুদগ্রহণ করলে তার আচরণে ঠিক থাকেনা। তাই আমাদের উচিত এই খারাপ কাজ থেকে ফিরে আসা। আল্লাহ ক্ষমাশীল আমরা যদি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই তাহলে আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করে দিবেন।

লেখকের মন্তব্য

সুদ কি - ইসলাম ও বিভিন্ন ধর্মে সুদ সম্পর্কে আলোচনা এই সম্পর্কে কি আপনি জানেন না জেনে থাকলে এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। আমাদের সকলের উচিত খারাপ কাজ থেকে ভালো কাজের দিকে ফিরে আসা। তাহলে আমরা এই দুনিয়াতে শান্তি পাব পরকালেও শান্তি পাব।বন্ধুরা আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন- আল্লাহ হাফেজ!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url