স্বাস্থ্য ভালো রাখার কার্যকারী ১০ টি টিপস জেনে নিন।
সকালে খালি পেটে পানি পান করা
কিন্তু আমরা যখন সারারাত, ঘুমানোর পরে সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠে এক গ্লাস পানি পান করি তখন আমাদের পাকস্থলী কার্যক্রম শুরু করে, ফলে আমাদের হজম প্রক্রিয়া চালু হয়ে যায়। সকালবেলা খালি পেটে পানি পান করার আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে চলুন আমরা সেগুলো সম্বন্ধে জেনে নেই।
- সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানি পান করলে আমাদের শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়।
- পাকস্থলী দ্রুত তার ক্রিয়া-কলাপ শুরু করতে পারে
- হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি হয়
- দেহ থেকে দূষিত পদার্থ গুলো বের হয়ে যায়
- রক্ত পরিষ্কার হয়
- কিডনির যেকোনো সমস্যার সমাধান করে কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে
- পেটের যেকোনো সমস্যা দূর করে
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
সকাল বেলা খালি পেটে পানি পান করার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জানলাম। নিশ্চয়ই আমরা এখন বুঝতে পেরেছি সকাল বেলা খালি পেটে একলা পানি পান করলে আমরা কত সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবো। তো বন্ধুরা আপনারা যদি স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চান তাহলে আপনাদের অবশ্যই স্বাস্থ্য ভালো রাখার কার্যকারী ১০ টি টিপস জানতে হবে।
সকালে খালি পেটে ফল খাওয়া
স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য আমাদের ফল খাওয়া জরুরী। ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিংক, ম্যাগানিজ, এন টি অক্সিডেন্ট, ফাইবার, মেলাটোনিন ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে থাকে যা আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধের হাত থেকে মুক্ত রাখতে সহায়তা করে।
আরো পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ, কারণ ও রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপায়
কিন্তু এই ফল কিভাবে খেলে আমরা বেশি উপকার পাবো সে সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী। দিনের আমরা যেকোনো সময় ফল খেতে পারি কিন্তু সকাল বেলা খালি পেটে ফল খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে চলুন তাহলে জেনে নেই সকাল বেলা খালি পেটে ফল খাওয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে।
- শরীর সুস্থ রাখার জন্য সকালবেলা ফল খাওয়া অনেক উপকারী কারণ ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন থাকে। আর ভিটামিনের অভাবে আমাদের শরীর অসুস্থ হয়ে যায় বিভিন্ন ধরনের রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে।
- ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে ভিটামিন সি এর অভাবে আমাদের মুখে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয়। এ সকল রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের অবশ্যই ভিটামিন সি জাতীয় ফল খেতে হবে।
- আমরা যদি সকাল বেলা খালি পেটে ফল খায় তাহলে আমাদের ফুসফুস সুস্থ থাকবে
- ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুদের রিকেটস নামক রোগ হয় কিন্তু শিশুকে যদি সকাল বেলা খালি পেটে ফল খাওয়ার অভ্যাস করেন এবং হালকা সূর্যের আলো দেন তাহলে শিশু এই রোগ থেকে মুক্তি পাবে।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এবং সুস্থ ত্বক কল্পনা করতে সকাল বেলা খালি পেটে ফল খাওয়া উচিত কারণ ফলে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- সকালে খালি পেটে ফল খেলে কিডনির জন্য খুব ভালো হয়। আপনি যদি আপনার কিডনি সুস্থ রাখতে চান তাহলে অবশ্যই খালি পেটে ফল খাবেন।
তো বন্ধুরা বুঝতে পারলেন খালি পেটে ফল খাওয়ার উপকারিতা কত বেশি। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে এবং শরীর রোগ প্রতিরোধের হাত থেকে মুক্ত রাখতে চাইলে অবশ্যই আমাদের ফল খেতে হবে এবং নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে যাতে আমরা ফল খাওয়ার মাধ্যমে উপকার পায়। তো বন্ধুরা আপনারা যদি স্বাস্থ্য ভালো রাখার কার্যকারী ১০ টি টিপস সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন এবংস্বাস্থ্য ভালো রাখার কার্যকারী ১০ টি টিপস সম্পর্কে জানুন।
সকালবেলা ব্যায়াম করার অভ্যাস করা
সকালবেলা ব্যায়াম করা আমাদের শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলে বোঝানো যাবে না যদি আপনি বুঝতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্র্যাকটিক্যাল ব্যায়াম করে দেখতে হবে। সকাল বেলা ব্যায়াম করার উপকারিতা অনেক ।সকালের ব্যায়াম কে স্বাস্থ্যের জন্য সার্বজনীন ব্যায়াম বলা হয়। অনেক ধরনের ব্যায়াম আছে। এবং অনেক ভাবে ব্যায়াম করা যায়।
তবে আপনার জীবনটি ভালো লাগবে আপনি সেই ভাবে প্রতিদিন নিয়মিত করবেন তাহলে আপনি উপকার পাবেন। সবচেয়ে সহজ এবং জনপ্রিয় ব্যায়াম হচ্ছে দৌড়ানো প্রতিদিন আপনি সকালবেলা কয়েক মিনিট করে দৌড়াতে পারে। এতে সূর্যের আলো আপনার গায়ে পড়বে যার ফলে আপনি ভিটামিন ডি পাবেন এবং দৌড়ানোর ফলে আপনার শরীরের মাংসপেশিগুলো একটিভ হবে যার ফলে আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে
আরো পড়ুন: পেটের এবং লিভারের চর্বি কমানোর উপায়
এবং যেকোনো কাজে আপনার মনোযোগ হবে তাই তো বিজ্ঞানীরা প্রতিদিন সকালবেলা সাতটা থেকে দশটা পর্যন্ত শিশুদের রৌদ্রে খেলাধুলা করার পরামর্শ দেন। এই খেলাধুলা করার মাধ্যমে তারা একদিকে ভিটামিন ডি পাই অন্যদিকে তাদের ব্যায়াম হয়ে যায়। ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুদের রিকেটস নামক রোগ হয়। যুবক
এবং বৃদ্ধদের ব্যায়াম করার সঠিক সময় হচ্ছে দুপুরবেলা কেননা দুপুরবেলা শরীরের সমস্ত মাংসপেশি অ্যাক্টিভ থাকে। তবে ব্যায়াম করার সঠিক এবং উপকারী সময় হচ্ছে সকালবেলা চলুন আমরা সকালবেলায় ব্যায়াম করার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নি।
- সকালবেলা ব্যায়াম করার ফলে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন হ্রাস পাই
- সকাল বেলা নিয়মিত ব্যায়াম করলে উচ্চরক্তচাপের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
- মাংস শক্তিশালী হয় এবং মাংসপেশির বৃদ্ধি পায়
- শরীরের যেকোনো ব্যথা দূর হয়
- হার্টের প্রবলেম সলভ হয়
- সকালবেলা ব্যায়াম করার ফলে পড়ালেখা এবং কাজে মনোযোগ আসে
তাহলে জানতে পারলেন সকালবেলা ব্যায়াম করার কথা গুলো সম্পর্কে। আপনি যদি সকালবেলা নিয়মিত ব্যায়াম করেন আপনিও এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
শরীরের ওজন ঠিক রাখতে চেষ্টা করা
বর্তমান সময়ে ওজন বেড়ে যাওয়া মানুষের একটি কমন প্রবলেম। শরীরের ওজন যাতে বৃদ্ধি না পায় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখা উচিত এবং শরীরের ওজন যদি বেশি হয় তাহলে সেটা কমিয়ে স্বাভাবিক আনা বুদ্ধিমানের কাজ।
আরো পড়ুন: হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জেনে নিন
কেননা স্থূল শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধে যেমন ডাইবেটিস , হাই প্রেসার , গ্যাসট্রিক , কোষ্ঠকাঠিন্য , টিউমার সহ আরো অনেক রোগ দেখা দেয়। সুস্থ শরীরে সকলেই কামনা করে। তাই সকলের উচিত শরীরের যাতে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি না পায় সেদিকে নজর দেওয়া।চলুন তাহলে জেনে নিন কিভাবে আপনি আপনার অতিরিক্ত ওজন কমাবেন,
- প্রতিদিন তিন থেকে চারবার সবুজ বা গ্রিন ট্রি পান করবেন এতে আপনার শরীরের ক্যালরি ক্ষয় হবে যার ফলে আপনার ফ্যাট বার্ন হতে সাহায্য করবে।
- দিনের বেলা কোনোভাবেই ঘুমানো যাবে না কারণ দিনে ঘুমালে ওজন বৃদ্ধি পায় এর জন্য ঘুমানোর অভ্যাস পরিহার করতে হবে।
- সকালবেলা খালি পেটে নিয়মিত পানি পান করতে হবে কেননা এই পানি আপনার দেহের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে আপনার দেহে ওজন বৃদ্ধিরকারক টক্সিন থেকে আপনার থেকে মুক্ত করবে।
- মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খেতে হবে কারণ মিষ্টি জাতীয় খাবার দেয়ার প্রয়োজন বৃদ্ধি করতে করতে সাহায্য করে তাই আপনি যদি আপনার ওজন কমাতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই জাতীয় খাবার দিতে বিরতি থাকতে হবে।
আপনি যদি আপনার ওজন কমাতে চান এবং আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে চান আপনার শরীরে ফিটনেস ধরে রাখতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই উপরের টিপস গুলো পালন করতে হবে।
পুষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহণ করা
স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য আমাদের পুষ্টিকর খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিকর খাবার মানে দামি খাবার এটা আমরা অনেকে মনে করে থাকি কিন্তু আসলে সেরকমটা নয়। খাবার হলে যে সেটা দামী হবে সেটা নয়। যে সকল খাবারের গুণগত মান ঠিক থাকে এবং যে সকল খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী সেই খাবারগুলোকে পুষ্টিকর খাবার বলে। স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব অনেক। আপনি যদি আপনার শরীর সুস্থ রাখতে চান তাহলে আপনার পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে চলুন তাহলে জেনে নিন পুষ্টিকর খাবার কোনগুলো সেই সম্পর্কে
- সকল প্রকার সবুজ শাকসবজি
- লাল রঙের শাকসবজি
- সামুদ্রিক মাছ
- গরুর বা খাসির মাংস
- দুধ ইত্যাদি খাবার পুষ্টিকর খাবার
চর্বি জাতীয় খাবার গুলো আমাদের এড়িয়ে চলা উচিত কারণ চর্বিযুক্ত খাবার আমাদের ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন ধরনের কঠিন রোগ সৃষ্টি করে তো বন্ধুরা ভালো রাখতে চাইলে অবশ্যই আমাদের এই পুষ্টিকর খাবার গুলো খেতে হবে তাহলে আমরা সুস্বাস্থ্য হতে পারব।
কম পরিমাণ লবণ খাওয়া
স্বাস্থ্য ভালো রাখার কার্যকালের টিপস এর মধ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণপ টিপস হচ্ছে খাবারের সাথে কম পরিমাণ লবণ খাওয়া। খাবারের অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে আমরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান হতে পারি। তাই বিশেষজ্ঞরা বলে শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে কম পরিমাণে লবণ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে কেন.না অতিরিক্ত লবণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। চলুন তাহলে জেনে নিন লবণ খাওয়ার অপকারিতা গুলো সম্পর্কে
- প্রতিটি মানব শরীরে সিমপ্যাথেটিকি নার্ভ থাকে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে আমাদের এই অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে্র নার্ভ সিস্টেম অতি দ্রুত উদ্দীপিত হয় যা আমাদের শরীরের জন্য বিপজ্জনক।
- অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে আমাদের হাই ব্লাড প্রেসার বৃদ্ধি পায়।
- অতিরিক্ত লবণ আমাদের হাড়ের ক্ষতি করে। হাড় থেকে প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম শুষে নেয় যার ফলে হার্টের বিভিন্ন ধরনের প্রবলেম দেখা দেয়।
- অতিরিক্ত লবণ শরীরে জমে থাকা দূষিত বজ্র পদার্থ গুলোকে বের হতে বাধা প্রদান করে যার ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধির সৃষ্টি হয় এবং জটিল আকার ধারণ করে।
লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করা
বর্তমান সময়ে অফিস আদালত বাসা বাড়ি কিংবা মার্কেট প্লেসে লিফটের ব্যবহার চলছে কিন্তু আমরা কি জানি এই লেফট আমাদের জন্য কতটা বিপদজন। দৈনন্দিন কাজ করবে মানুষ লিফট ব্যবহারের ফলে আরো বেশি অলস হয়ে পড়ছে ।যার ফলে ওজন আরো বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আমারও যদি দৈনন্দিন প্রয়োজনে বাসা বাড়ি কিংবা অফিসে লেফট ব্যবহার না করে সিড়ি ব্যবহার করি হলে উপর থেকে নিচে ওঠানামা করার মাধ্যমে আমাদের বার্ন হবে আমাদের শরীর থেকে ঘাম ঝরবে যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী হবে। আমরা যখন উপরে উঠি তখন আমাদের ফুসফুসের একটি ব্যায়াম হয় যা শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। তো বলি লিফটের পরিবর্তে ব্যবহার করুন আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং আপনার শরীর সুস্থ থাকবে।
কাজের মাঝে বিরতি গ্রহণ করা
আমাদের শরীরের জন্য একটানা কাজ করা মোটেই কাম্য নয়। একটানা কাজ করার ফলে মানসিক শান্তি বিনষ্ট হয় এবং আমাদের মস্তিষ্কের নিউরনের বড় ধরনের ক্ষতি হয়। যদি আপনার কাজ ভালোভাবে শেষ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কাজের মাঝে কয়েকবার বিরতি নিতে হবে। কোন ব্যক্তি যদি প্রতিদিন একটা না একই নিয়মে কাজ করে তাহলে তার স্বাস্থ্যগত পরিবর্তন হবে এবং তার মস্তিষ্কের জন্য অকল্যাণকর হবে।
তাই তো কাজের মাঝে বিরতি নেওয়া , সামান্য হাঁটাহাঁটি করা। এতে ক্লান্তি ও অবসর দূর হবে। শরীর ও মন সুস্থ হবে এবং কাজে মনোযোগ আসবে। আপনি যদি আপনার কাজে সফল হতে চান এবং কাজটি ভালোভাবে শেষ করতে চান এবং কাজে মনোযোগী হতে চান আপনাকে অবশ্যই কাজের মাঝে বিরতিগ্রহণ করতে হবে।
ফাস্ট ফুড থেকে বিরত
স্বাস্থ্য ভালো রাখার আরেকটি কার্যকারী হচ্ছে ফাস্ট ফুড থেকে বিরত থাকা। আমরা বাইরে থেকে যে ফাস্টফুড কিনে এনে খায় সেগুলো তেল এবং চর্বি যুক্ত হয় যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এছাড়াও এই খাবারগুলো খোলামেলা থাকে তাহলে বাইরের ধুলোবালি ময়লা জীবন খাবারের সাথে মিশে থাকে এবং এই খাবার গ্রহণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয়।
খাবারের যে অতিরিক্ত তেল থাকে তা আমাদের হার্ট ব্লক করতে সাহায্য করে এবং খাবারে থাকা ধুলোবালি আমাদের ডায়রিয়া , কলেরা বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করে। তাই তো আপনি যদি আপনার তো ভালো রাখতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই বাইরের খাবার পরিহার করতে হবে।
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া এবং সকালে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠা
স্বাস্থ্য ভালো রাখার আরেকটি কার্যকারী দেশ হচ্ছে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া এবং সকালবেলা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে জেগে ওঠা। অনেক ব্যক্তি আছেন যারা অনেক রাত্রি করে ঘুমান এবং সকালে অনেক দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন। যার ফলে এনারা সকালবেলার মৃদু বাতাস থেকে গাফেল হয়ে যান। সকালের দূষণমুক্ত বাতাস আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। সকলের বাতাস অনেক রিফ্রেশ থাকে যার ফলে এই বাতাস গ্রহণ করার ফলে আমাদের শরীর এবং মন দুটোই ভালো থাকে সুস্থ থাকে। তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার ফলে আমাদেরকে কি উপকার হয় চলুন সেগুলো সম্পর্কে জেনে,
- রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার ফলে আমরা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পায়।
- পরিচিত ব্যক্তিদের সাথে ভালো ব্যবহারের মানসিকতা তৈরি হয়
- শরীরের অতিরিক ওজন কমিয়ে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে গেলে আমাদের ত্বকের গ্লো বৃদ্ধি পায়।
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুম যাওয়া এবং সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে জেগে ওঠা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন।
প্রিয় পাঠক
আসসালামু আলাইকুম! আশা করি, আল্লাহর অশেষ রহমতে সকলে ভালো আছেন। স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। স্বাস্থ্য ভালো থাকলে শরীর ভালো থাকে ।শরীর ভালো থাকলে মন ভালো থাকে।আর মন ভালো থাকলে পৃথিবীর সবকিছুই ভালো লাগে। আপনি যদি আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই স্বাস্থ্য ভালো রাখার কার্যকারী ১০ টি টিপস সম্পর্কে জানতে হবে।
আর স্বাস্থ্য ভালো রাখার কার্যকারী ১০ টি টিপস সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়তে হবে। আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই পরিবারের সাথে শেয়ার করবেন। সকলেই ভালো থাকবেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি-আল্লাহ হাফেজ!
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url