চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা - চেরি ফলের গুনাগুন

চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা - চেরি ফলের গুনাগুন সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। আমরা নিশ্চয়ই সকলই চেরি ফল ভীষণ পছন্দ করি এবং খেতেও ভালোবাসি। চেরি ফল আমাদের দেশের সারা বছরে পাওয়া যায়।চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেক। আপনি যদি চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা - চেরি ফলের গুনাগুন এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে শেষ করুন।
চেরি-ফলের-গুনাগুন
এই আর্টিকেলটিতে চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা, চেরি ফলের গুনাগুন এবং চেরি ফল খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনি উপকৃত হবেন। তাহলে আর দেরি কেন চলুন আমাদের মূল আলোচনায় যায়।

চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা

চেরি অত্যন্ত মিষ্টি ও সুস্বাদু একটি ফল চেরি ফল খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। চেরি ফলে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য স্থায়ীভাবে কাজ করে। এছাড়াও চেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পলিফেনোল যা হার্টের রোগ , ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারসহ , মানসিক সমস্যার বিরুদ্ধে কাজ করে । চেরিতে প্রচুর পরিমাণ ইউরিক এসিড রয়েছে যা আমাদের বাতের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।যাদের ঘুমের প্রবলেম আছে তারা ঘুমের মান উন্নত করতে চেরি ফল খেতে পারেন কারণ চেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ মেলাটোনিন অ্যাসিড যা আপনার ঘুম বৃদ্ধি করে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে সকল ব্যক্তি এক সপ্তাহের ছেলের জুস পান করেছেন তাদের শরীরে মেলাটোনিনের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে যার ফলে তাদের ঘুমের সময়কাল এবং ঘুমের মান বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরো পড়ুন: স্বাস্থ্য ভালো রাখার কার্যকারী ১০ টি টিপস জেনে নিন।

এছাড়াও আপনার শরীরের পিএইচ লেভেল ঠিক রাখতে এবং ত্বকের কালো দাগ দূর করতে চেরি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম অ্যান্থোস সায়ানিন, ফ্লাভনলস  ও ক্যাটচিন নামক শক্তিশালী এন্টি অক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বকের সেলুলার সুরক্ষা দেয় এবং হার্ট সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

গর্ভাবস্থায় চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেক। চেরি ফলে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি রয়েছে যা গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। গর্ভের শিশুর বিকাশ ও বৃদ্ধির জন্য এই উপাদান গুলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

গবেষণায় দেখা গেছে ১০০ গ্রাম চেরিতে ক্যালোরি থাকে-63 গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট থাকে-১৬ গ্রাম, ফলেট এসিড থাকে ৪ গ্রাম, ভিটামিন সি থাকে-৭ মিলিগ্রাম, প্রোটিন থাকে-১ গ্রাম , ভিটামিন এ থাকে - 640iu, পটাশিয়াম থাকে-২২২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন কে থাকে -২গ্রাম, ক্যালসিয়াম থাকে-১৩ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম থাকে-১১ মিলিগ্রাম এবং ফসফরাস থাকে ২১ মিলিগ্রাম। তো বন্ধুরা বুঝতে পারলেন গর্ভাবস্থায়  ফল খাওয়ার উপকারিতা কত গুরুত্বপূর্ণ।

চেরি ফলের গুনাগুন

চেরি ফল অত্যন্ত গুণাগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল। চেরি ফলের পুষ্টিগুণ বলে শেষ করা যাবে না ।চলুন বন্ধুরা আমরা জেনে নেই। চেরি ফলের কিছু গুনাগুন সম্পর্কে।

আরো পড়ুন: ত্বীন ফলের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

উচ্চ রক্তচাপ কমাতেঃ আমরা অনেকেই উচ্চ রক্তচাপ সমস্যায় ভুগি। চেরি রক্তচাপ আমাদের কাছে অনেক পরিচিত। প্রত্যেক পরিবারের কারো না কারো এই সমস্যা আছে। আমরা সহজে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি কিন্তু কিভাবে সেটা জানে না তাই তো চলুন আমরা এখন জেনে নেব কিভাবে রক্তচাপ থেকে মুক্তি পেতে পারি। চেরি ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তো বন্ধুরা আমরা যদি উচ্চ রক্তচাপের হাত থেকে মুক্তি পেতে চায় তাহলে আমাদের চেরি ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেঃ চেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট ও কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য উপাদান যা আমাদের দেহে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের জন্ম দেয়। যার ফলে আমরা হৃদরোগের মতো ঝুঁকিপূর্ণ রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি। তাই হৃদরোগ থেকে মুক্তি পেতে আমরা চেরি ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে পরি।
চেরি-ফল-খাওয়ার-উপকারিতা

হার্ট সুস্থ রাখতেঃ চেরি ফল হার্টের জন্য অনেক ভালো। চেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম ও পলিফেনাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের হার্টের প্রদাহ কে হ্রাস করে হার্ট কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

নিদ্রা হীনতা দূর করতেঃ আপনার চোখে ঘুম নেই। আপনি যদি আপনার ঘুমের উন্নতি করতে চান। আপনাকে অবশ্যই চেরি খাওয়া অভ্যাস করতে হবে কারণ চেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ মেটাট্নিক অ্যাসিড যা আপনার ঘুমের উন্নতি করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে কোন ব্যক্তি যদি একটানা এক সপ্তাহ চেরির জুস করে তাহলে তার শরীরের এনার্জি লেভেল বৃদ্ধি পায় মেলা টনিন এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় যার ফলে ঘুমের সময়কাল বৃদ্ধি পায় এবং ঘুমের মানের উন্নতি হয় যার ফলে নিদ্রাহীনতা দূর হয়।

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধি করতেঃ চের ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট , ভিটামিন  ,ক্যারোটিন ফ্ল্যাভোনয়েডস যা ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক জনিত সংক্রমণ থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে এবং আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যার ফলে আমাদের শরীর জ্বর সর্দি কাশি মন্ত্রণালী ও অস্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা থেকে দূরে থাকে।

আরও পড়ুন: ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় কি জেনে নিন

ক্যান্সারের বৃদ্ধির হ্রাস করতেঃ ক্যান্সার আমাদের কাছে মরণ ব্যাধি হিসেবে পরিচিত। চেরি ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি এবংক্যারোটিন ফ্ল্যাভোনয়েডস যা আমাদের শরীরের ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিকে হ্রাস করে।

ত্বকের যত্নেঃ চেরি ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা রেডিক্যাল এর সাথে লড়াই করে ত্বকের উন্নতি সাধন করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে তোকে গ্লো এন্ড সফট করে তোল। এছাড়াও ত্বকের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। আপনি যদি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চান বা আপনি আপনার ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই চেরি ফলের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে।

আপনি খুব সহজেই এই ফেসপ্যাকটি তৈরি করতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নেই কিভাবে চেরি ফলের ফেসপ্যাক তৈরি করবেন, প্রথমে দুই থেকে তিনটি চেরি ফল ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিবেন এরপর পেস্ট বানিয়ে নিবেন। এই পেস্ট এর ভেতর চিমটা পরিমাণ হলুদ গুড়া ও এক চামচ পরিমাণ মধুর রস মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট তৈরি করে নিন এরপর এটি আপনার মুখে ও গলায় ভালোভাবে মেসেজ করে নিন।

১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন এরপর হালকা কুসুম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি ভালো ফলাফল পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন এই ফেসপ্যাক টি ব্যবহার করতে হবে। তারপর আপনি নিজেই এর ফলাফল দেখতে পাবেন।

পেশি সুস্থ রাখতেঃ বেশি সুস্থ রাখতে চান ।তাহলে আপনাকে অবশ্যই চেরি ফল অভ্যাস করতে হবে কারণ চেরি ফলে এমন সব উপাদান রয়েছে যা আপনার পেশিকে সুস্থ রাখবে। চেরি ফলে রয়েছে ইনফ্লামেটরি ও এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা আপনার পেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এবং আপনার পেশি কে সুস্থ রাখে। 

ধৈর্যশীল রানারদের এক সম্যক খায় প্রমাণিত হয়েছে যে যে সকল রানারেরা ম্যারাথন দৌড়ান তারা প্রতিদিন ৪৮০ মিলিগ্রাম চেরি ফলের রস খান যার ফলে তাদের পেশি সুস্থ থাকে এবং তারা পেশির ব্যথা অনুভব করেন না। তো বন্ধুরা আপনার যদি বেশি সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আজ থেকেই চেরি ফলের জুস খাওয়ার অভ্যাস করে তুলুন তাহলে আপনার বেশি সুস্থ থাকবে এবং মনও ভালো থাকবে। কারণ স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। স্বাস্থ্য ভালো থাকলে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে। যার ফলে পৃথিবীর সব কাজ ভালো লাগে।

চুলের বৃদ্ধির জন্যঃ চেরি শুধু আমাদের ত্বকের জন্যই উপকারীর তা নয়। চেরিতে এমন সব পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের চুলের পুষ্টি জোগাতে ও সাহায্য করে। চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে চুলকে মসৃণ করতে এবং চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত করতে চেরি ফলের ভূমিকা অতুলনীয়।

বাড়তি ওজন কমাতেঃ আমরা অনেকে ওজন বৃদ্ধি নিয়ে টেনশনে থাকি। দিন দিন হুটহুট করে ওজন বেড়ে যাচ্ছে কি করা যাবে? কিভাবে ওজন কমানো যায়?কিভাবে ডায়েট করব? এইসব চিন্তা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায়। কিন্তু আপনি কি জানেন চেরি ফল ওজন কমাতে সাহায্য করে। এক শ গ্রাম চেরীতে 100 কিলোক ক্যালরি থাকে যা আমাদের প্রতিদিনের ক্যালরি চাহিদা পূরণ করে এবং আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে।

চেরি ফলের দাম বাংলাদেশ

উপরে আমরা জেনেছি চেরি ফলের উপকারিতা  ও গুনাগুন সম্পর্কে।চেরি ফলের এত উপকারিতা জেনে তো সবার মন চাইবে চেরি ফল খেতে। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই চেরি ফল কেনার জন্য তো প্রথমে আমাদের দাম জানা খুবই জরুরী তাই না । তো চলুন বন্ধুরা এখন আমরা জেনে নেই বাংলাদেশের চেরি ফলের দাম কত? বাংলাদেশের বাজারে ফলের দাম ১০০ গ্রাম চেরি ফলের দাম -১০০ টাকা। ৫০০ গ্রাম এর দাম-৫০০ টাকা এবং এক কেজি চেরি ফলের দাম-১০০০ টাকা।

চেরি ফল চেনার উপায়

আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের চেরি ফল পাওয়া যায়। কিন্তু কোনটি আসল চেরি ফল সেটি যেন আমাদের জন্য খুবই জরুরী। কারণ চেরি ফলের আসল টেস্ট এবং ফ্লেভার পেতে হলে অবশ্য আমাদের আসল চেরি ফল কোনটি তার জানা গুরুত্বপূরন। আমরা যে চেরি ফল খাই তা খুবই মিষ্টি এবং টকটকে লাল হয়ে থাকে কিন্তু এটা আসল চেরি ফল নয় এটা হচ্ছে রং আর চিনি মেশানো করম চা। 

আসল চেরি ফল দেখতে কেমন এবং খেতে কেমন লাগে তা জানতে হলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি পুরো পড়তে হবে। আসল চেরি ফল দেখতে ছোট টমেটোর মত লাল টকটকে এবং এর গা অনেকটা মসৃন থাকে। এটি খেতে কম মিষ্টি এবং বেশি টকভাব।

এর ফ্লেভার অত্যন্ত মোহনীয়। আমরা যদি আসল চেরি ফলের টেস্ট পেতে চায় তাহলে অবশ্যই চেরি ফল কেনার আগে টেস্ট করে কিনতে হবে এবং ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। তো বন্ধুরা আজ থেকে আর আমরা নকল চেরি ফল কিনবো । আসল চেরি ফল কেনে তার আসল টেস্ট এবং ঘ্রাণ গ্রহণ করব।

চেরি ফল খাওয়ার অপকারিতা

উপরে আমরা চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতার কথা জেনেছি। এখন আমরা জানবো চেরি ফল খাওয়ার কিছু অপকারিতা সম্পর্কে। চেরি ফলে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে এর মধ্যে একটি উপাদান হচ্ছে ফাইবার চেরি ফলে ফাইবার বেশি পরিমাণে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে ১০০ গ্রাম চেরি ফলে ৩ গ্রাম ফাইবার থাকে। অতিরিক্ত ফাইবার আমাদের শরীরের জন্য ভালো ... বেশি পরিমাণ ফাইবার গ্রহণ করলে আমাদের অন্ত্রের গ্যাসের সমস্যা এবং আরো নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

আপনার যদি এই সমস্ত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি যদি ফল খাওয়ার সময় একটু হুশিয়ার থাকবে কারণ যে কোন খাবার অতিরিক্ত গ্রহণ করলে তার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়। চেরি ফল ও তেমনি একটি খাবার যা অতিরিক্ত গ্রহণ করলে আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর হবে। অতিরিক্ত চেরি ফল গ্রহণের ফলে আপনার এলার্জির সমস্যা দেখে দিতে পারে।

আমেরিকার একজন এলার্জি অ্যাজমা এন্ড ইমিউনোলজি বলেন যে একজন ব্যক্তি বেশি পরিমাণে চেরি ফল গ্রহণ করলে তার শ্বাসকষ্ট আমাবত এবং গলা বন্ধের সমস্যা দেখা দিতে পারে এগুলো হচ্ছে এলার্জিজনত সমস্যা। তাহলে আপনি বুঝতে পারছেন চেরি ফলে এলার্জির সমস্যা বেশি দেখা দেয়। আপনার যদি অ্যালার্জিজনিত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি চেরি ফল ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে পারেন।

শেষ কথাঃ চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা - চেরি ফলের গুনাগুন সম্পর্কে

আমার সাথে এতক্ষণ থাকার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। বন্ধুরা আমরা উপরে চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতার কথা জেনেছি। ভালো মন্দ পরস্পর ভাই ভাই। তাই যার উপকারিতা থাকবে তার অপকারিতা থাকবে এটা অজানা কোন কথা নয়। একজন ব্যক্তির জন্য সব কিছু সেভ নাও হতে পারে। যার জন্য যেটা সেফ হবে তিনি সেটাই ইউজ করবেন এটাই তো স্বাভাবিক।

সর্বশেষ কথা হচ্ছে আমাদের শরীরের সাথে এডজাস্ট করে আমরা খাবার গ্রহণ করব তাহলে আমরা উপকার পাবো এবং সুখে থাকব। আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পরিবারের সাথে শেয়ার করবেন।সকলে ভাল থাকবেন-আল্লাহ হাফেজ!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url